আগামী সাত দিন উচ্চ শিক্ষা দফতরের চারটি পোর্টাল বন্ধ রাখা হবে। সোমবার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে শিক্ষা দফতর। ওই পোর্টালগুলি হল, বাংলার শিক্ষা পোর্টাল, উৎসশ্রী, আইওএসএমএস ও স্কলারশিপ।
১ জুলাই সকাল ১০টা থেকে বন্ধ থাকবে ওই চারটি পোর্টাল। খোলা হবে ৭ জুলাই সকাল ১১টায়। বাংলার শিক্ষা পোর্টাল, উৎসশ্রী, আইওএসএমএস ও স্কলারশিপ এই চারটি পোর্টাল নিয়ন্ত্রণ করা হত কেন্দ্রীয় ন্যাশনাল ইনফরমেটিক সেন্টার মারফত। বাংলার শিক্ষা পোর্টাল ও উৎসশ্রী বাংলার শিক্ষা ওয়েবসাইটের অধীনে থাকলেও বাকি দু’টি ছিল না। বন্ধ রাখা হবে পোর্টালগুলিতে কাজের জন্য। রাজ্য সরকারের অধীনে নিয়ে আসা হবে এই চারটি পোর্টাল। যা পরিচালন করবে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ডেটা সেন্টার।
সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘এনআইসি-র নিয়ন্ত্রণ থেকে বেরিয়ে এসে সব পোর্টাল রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার সিদ্ধান্তের পিছনে কী যুক্তি, সেটা আমরা বুঝতে পারলাম না! তবে নিশ্চই গুরুত্বপূর্ণ কিছু কারণ এর পিছনে রয়েছে। তবে, ভবিষ্যতে যাতে একসঙ্গে অনেক কাজ করার জন্য সার্ভার ডাউন না হয়ে যায় সেটা শিক্ষা দফতরকে সুনিশ্চিত করতে হবে এবং শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের তথ্য সুরক্ষিত থাকে সেটাও দেখতে হবে।’’
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, বাংলার শিক্ষা পোর্টাল মারফত মূলত পড়ুয়াদের তথ্য পূরণ-সহ আরও কাজ করা হয়। শিক্ষক শিক্ষিকাদের মিউচুয়্যাল ট্রান্সফার এবং জেনারেল ট্রান্সফার, এবং মেডিক্যাল গ্রাউন্ড ট্রান্সফার-এর যাবতীয় কাজ হয় উৎসশ্রী পোর্টাল মারফত। আবার তাঁদের বেতন সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য পূরণ, যাচাইকরণ হয় আইওএসএমএস-এর সাহায্যে। পড়ুয়াদের স্বার্থে স্কলারশিপ পোর্টাল দ্বারা সরকারি যে সমস্ত স্কলারশিপ রয়েছে, সেগুলির আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
তবে উৎসশ্রী পোর্টালে প্রাথমিক স্তরে সাধারণ বদলির ক্ষেত্রে শূন্য আসনের তালিকা নিয়ে নানা জটিলতার কারণে ২০২২ থেকে টানা বন্ধ রয়েছে। বদলি বন্ধের মেয়াদ শেষ হচ্ছিল ৩০ জুন। কিন্তু সোমবারই ‘এলিমেন্টারি স্কুল এডুকেশন’ বিভাগের তরফে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পোর্টালে বদলির আরও ছ’মাস বন্ধ রাখার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হল। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে। যদিও উৎসশ্রী পোর্টালে মিউচুয়াল ট্রান্সফার চালু রয়েছে। এ প্রসঙ্গে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন থেকে নামে মাত্র পারস্পরিক বদলি চালু রাখা হয়েছে। বাস্তবে তার কার্যকারিতা নেই। প্রক্রিয়া চালু হওয়ার পর এখনও একটাও পারস্পরিক বদলি হয়নি। বহু শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী অপেক্ষা করে রয়েছেন। দ্রুত তা বাস্তবে কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি।’’