এ বছর থেকেই সিবিএসই-র (সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন) দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। পরিবর্তিত নিয়ম মেনে পরীক্ষার ফল ঘোষণার পর এ বার বোর্ডের তরফে সেই বিষয়ক সমস্ত তথ্যও ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুতেই সিবিএসই-র তরফে ঘোষণা করা হয়, দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির ফল প্রকাশের পর প্রাপ্ত নম্বর নিয়ে অখুশি পড়ুয়াদের প্রথমে নিজেদের উত্তরপত্র দেখার জন্য আবেদন করতে হবে। বোর্ড নির্ধারিত পদ্ধতি মেনে পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়িত উত্তরপত্রের ফোটোকপি দেবে। তা দেখে সন্তুষ্ট না হলে পুনর্মূল্যায়নের জন্য আবেদন করতে পারবে। অথবা দু’টি প্রক্রিয়ার জন্যই যৌথ ভাবে আবেদন করতে পারবে।
গত সপ্তাহে ঘোষিত হয়েছে সিবিএসই-র দশম ও দ্বাদশের ফল। নিয়ম অনুযায়ী এ বার পরীক্ষার্থীরা তাঁদের মূল্যায়িত উত্তরপত্র দেখার জন্য আবেদন করতে পারবেন। দশম শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের আবেদন করতে হবে ২৭ মে থেকে ২ জুনের মধ্যে। দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত সময়সীমা ২১ মে থেকে ২৭ মে।
দ্বাদশের পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়িত উত্তরপত্র দেখার জন্য বিষয়পিছু ৭০০ টাকা জমা দিতে হবে। এর পর ২৮ মে থেকে ৬ জুনের মধ্যে পরীক্ষার্থীরা নম্বর যাচাইকরণ, পুনর্মূল্যায়ন এবং পুনর্যাচাইকরণের জন্য আবেদন করতে পারবে। সে ক্ষেত্রে উত্তরপত্র যাচাইকরণ পিছু ৫০০ টাকা এবং প্রতি প্রশ্ন পুনর্মূল্যায়নের জন্য ১০০ টাকা।
দশম শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে যাচাইকরণ, পুনর্মূল্যায়ন এবং পুনর্যাচাইকরণের জন্য সময় বরাদ্দ করা হয়েছে ৩ জুন থেকে ৭ জুন। প্রতি বিষয়ের উত্তরপত্র যাচাইকরণের জন্য জমা দিতে হবে ৫০০ টাকা। অন্য দিকে, প্রতি প্রশ্ন পুনর্মূল্যায়নের জন্য ১০০ টাকা জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন:
আবেদনের পদ্ধতি:
১) প্রথমে সিবিএসই-র ওয়েবসাইট cbse.gov.in -এ যেতে হবে।
২) ওয়েবসাইটে এর পর পুনর্মূল্যায়ন এবং যাচাইকরণের লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে।
৩) এর পর সেখানে নিজেদের রোল নম্বর-সহ অন্যান্য তথ্য দিয়ে রেজিস্টার করতে হবে।
৪) রেজিস্ট্রেশনের পর নিজেদের অ্যাকাউন্টে লগ ইন করে সমস্ত তথ্য-সহ আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে।
৫) এর পর নির্ধারিত আবেদনমূল্য-সহ অন্যান্য তথ্য দিয়ে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
৬) জমা দেওয়া আবেদনপত্র এবং আবেদনমূল্যের রসিদের প্রিন্ট আউট নিয়ে রাখা যাবে।
বোর্ডের তরফে পূর্ব প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, এই নয়া পদক্ষেপ পরীক্ষা ব্যবস্থার স্বচ্ছতা আরও বৃদ্ধি করবে। অন্য দিকে, পরীক্ষার্থীরাও তাদের উত্তরপত্র দেখে মূল্যায়নকারীদের মন্তব্য এবং নিজেদের ভুলভ্রান্তিও আবার যাচাই করে নিয়ে পুনর্মূল্যায়নের বিষয়ে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।