দ্বাদশ উত্তীর্ণ সিবিএসই-র পড়ুয়ারা নতুন করে পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। ২০২৫ পর্যন্ত ‘প্রাইভেট’ পড়ুয়ারা বোর্ডের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার দু’বছরের মধ্যে ‘অ্যাডিশনাল সাবজেক্ট’-এর পরীক্ষা দিতে পারতেন। মূলত জয়েন্ট এন্ট্রান্স কিংবা গ্র্যাজুয়েশন অ্যাপটিটিউড টেস্ট-এর মতো মতো সর্বভারতীয় স্তরের প্রবেশিকায় বসতেই দ্বিতীয় বার পরীক্ষা দিতেন তাঁরা।
কী জানিয়েছে সিবিএসই?
সিবিএসই-র তরফে জানানো হয়েছে, আগামী শিক্ষাবর্ষ অর্থাৎ ২০২৬ থেকে এমন পরীক্ষার্থীরা আর এই সুযোগ পাবেন না। শুধুমাত্র রেগুলার ক্যান্ডিডেট বা নিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসাবে যাঁরা নবম বা একাদশের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁরা ‘অ্যাডিশনাল সাবজেক্ট’ বেছে নিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে দশমের পড়ুয়ারা দু’টি এবং দ্বাদশের পড়ুয়ারা একটি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে। এ জন্য দু’বছরই ওই বিষয় নিয়ে পড়তে হবে।
স্কুলিং-এর বিকল্প:
‘প্রাইভেট’ পড়ুয়াদের জন্য শুধুমাত্র পরীক্ষার ক্ষেত্রেই নয়, স্কুলে ক্লাস করার বিষয়েও একাধিক শর্ত আরোপ করতে চলেছে সিবিএসই। এই বোর্ডের অধীনে দশম বা দ্বাদশের পরীক্ষা দিতে চাইলে নিয়মিত ক্লাস করা, প্রতিটি ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট-এ যোগদান করা এবং ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ উপস্থিতির হার বজায় রাখা আবশ্যক। বোর্ড অবশ্য এ-ও জানিয়েছে, এই নিয়ম অনুযায়ী ক্লাস করতে সমস্যা হলে, প্রার্থীরা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্কুলিং-এর দূরশিক্ষা মাধ্যমে স্কুলের পরীক্ষা দিতে পারবেন।
আরও পড়ুন:
পরীক্ষায় রদবদল:
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে নবম এবং একাদশের পড়ুয়াদের নাম নথিভুক্তকরণের একাধিক নিয়মাবলিও প্রকাশ করেছে সিবিএসই। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ অনুসারে, ২০২৬ থেকে দু’টি পর্বে দশমের পরীক্ষা নেওয়া হবে।
‘রেগুলার’ পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্দেশিকা:
- ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট সম্পূর্ণ হয়নি কিংবা নিয়মিত ক্লাস করেনি এমন নবম এবং একাদশের পড়ুয়াদের পরীক্ষার ফলাফল অসম্পূর্ণ থাকবে। তাই তারা পরীক্ষা দিলেও মার্কশিট পাবে না। তাঁদের ‘এসেনসিয়াল রিপিট’ হিসাবে চিহ্নিত করা হবে।
- এ ক্ষেত্রে তারা যে বিষয়ের পরীক্ষায় অসফল হয়েছে, সে বিষয়ে দ্বিতীয় বার পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবে।
- কোনও নতুন বিষয় সিবিএসই-র অনুমোদন ছাড়া পড়ানো যাবে না। এ ক্ষেত্রে ওই বিষয়ে শিক্ষকের ঘাটতি-ল্যাবরেটরি সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে ওই বিষয়টিকে পরীক্ষার সময় ‘মেন’ বা ‘অ্যাডিশনাল’ সাবজেক্ট হিসাবে বেছে নিতে পারবে না কোনও পড়ুয়াই।
আপার আইডি:
কতজন পরীক্ষা দিচ্ছে, তার তথ্য সিবিএসই অধীনস্থ স্কুলগুলিকে সংগ্রহ করে একটি বিশেষ অটোমেটেড পার্মানেন্ট অ্যাকাডেমিক অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রি (আপার ) আইডি বানাতে হবে। এই নিয়ম দ্বাদশের পড়ুয়াদের ক্ষেত্রেও জারি করা হয়েছে।
তথ্য সংগ্রহের শর্ত:
- আইডি বানানোর পর নাম নথিভুক্তকরণের প্রক্রিয়া স্কুলগুলিকে অনলাইনেই সম্পন্ন করতে হবে। তাতে পড়ুয়াদের জন্মতারিখের মতো তাদের মা-বাবার নাম, ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্যও থাকা চাই। পড়ুয়াদের মা-বাবার স্বাক্ষর এবং সম্মতি ছাড়া কোনও তথ্য জমা দেওয়া হলে তা ভুল হিসাবেই চিহ্নিত করা হবে। এই সমস্ত তথ্য ওএসিস এবং এইচপিই পোর্টাল মারফত জমা দিতে পারবে স্কুলগুলি।
- সঠিক ভাবে তথ্য জমা দিতে না পারলে, স্কুলগুলিকে ১৪ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত ফের সুযোগ দেওয়া হবে। সমস্ত পড়ুয়ার জন্য একটি করে ‘ডেটা ভ্যারিফিকেশন স্লিপ’ তৈরি করবে স্কুলগুলি, যার মাধ্যমে এই সমস্ত তথ্য জানতে পারবে সিবিএসই।
রেজিস্ট্রেশনের দিনক্ষণ:
- ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত ৩২০ টাকা ফি দিয়ে নাম নথিভুক্তকরণের কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে।
- ২,৩২০ টাকা লেট ফি জমা দিয়ে নাম নথিভুক্তকরণের জন্য ১৭ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পোর্টাল চালু রাখা হবে।