২০২৬-এ দশম বা দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় বসার জন্য পড়ুয়াদের অ্যাকাডেমিক অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রি (আপার) আইডি জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। গত মাসে এমনটাই ঘোষণা করেছিল সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই)। পরীক্ষার্থীদের সমস্ত তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এ বার সেই নির্দেশ খানিকটা শিথিল করল বোর্ড।
আগামী বছর দশম এবং দ্বাদশের বোর্ড পরীক্ষার আগে পরীক্ষার্থীদের সমস্ত তথ্য স্কুলগুলিকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সিবিএসই। এ বছরের লিস্ট অফ ক্যান্ডিডেটস (এলওসি) জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে আনা হয় বেশ কিছু পরিবর্তন। গত মাসেই তা জানানো হয়েছিল বোর্ডের তরফে। এলওসি জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে এ বছর অটোমেটেড পার্মানেন্ট অ্যাকাডেমিক অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রি (আপার) আইডি এবং এলওসসি ডেটা সংযুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল সিবিএসই। তথ্য ব্যবস্থাপনা নির্ভুল করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছিল। দেশের সিবিএসই অধীনস্থ স্কুলগুলির জন্য কার্যকর করা হয়েছিল এই নির্দেশ।
আরও পড়ুন:
কিন্তু এর পর নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে স্কুলগুলিকে। তারা বোর্ডকে জানিয়েছে, পড়ুয়াদের আপার আইডি এলওসি-র সঙ্গে সংযুক্ত করা, তথ্যে ভুল থাকা, তথ্য সংশোধন এবং আপডেট করা এবং অভিভাবকদের সম্মতি মিলছে। এই প্রযুক্তিগত এবং প্রশাসনিক জটিলতা দূর করতেই সিবিএসই নতুন পদক্ষেপ করেছে। জানানো হয়েছে, স্কুলগুলি এলওসি জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে আপার আইডি ‘রিফিউজড’ বা ‘নট জেনারেটেড’ কারণ দেখিয়ে আপলোড না করেও বোর্ডকে সমস্ত তথ্য জমা দিতে পারবে।
প্রতি বছরই বোর্ড পরীক্ষার আগে সিবিএসই-র কাছে লিস্ট অফ ক্যান্ডিডেটস (এলওসি) জমা দিতে হয় স্কুলগুলিকে। তবে আগামী বছর থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর হতে চলেছে। সম্পূর্ণ পরীক্ষা ব্যবস্থা আরও স্বচ্ছ করতেই একাধিক বদল আনা হয়েছে বলেই দাবি বোর্ডের তরফে।
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, আগামী বছর থেকে এই প্রথম দশম শ্রেণির জন্য দু’বার পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। প্রথম পর্বের মূল পরীক্ষাটি হবে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে। এই পরীক্ষায় বাধ্যতামূলক ভাবে বসতে হবে সকল পরীক্ষার্থীকে। প্রথম পর্বের পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় পর্বের আয়োজন করা হবে। যারা প্রথম পর্বের পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর নিয়ে সন্তুষ্ট নয়, তারা এই পরীক্ষা দিতে পারবে। সে ক্ষেত্রে দ্বিতীয় পর্বের ফল ভাল হলে, সেই নম্বরকেই তার দশম শ্রেণিতে মোট প্রাপ্ত নম্বর বলে ধরা হবে।