গত বছর দেশের সাতটি রাজ্যে দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় অকৃতকার্য পড়ুয়া প্রায় ৬৬ শতাংশ, এমনই দাবি কেন্দ্রের শিক্ষা মন্ত্রকের। এই তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। তাই রাজ্যগুলিতে দশম এবং দ্বাদশে ‘কমন বোর্ড’ পরীক্ষা আয়োজনের সুপারিশ কেন্দ্রের। তবে কেন্দ্রের দাবি খণ্ডন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর।
এ বার স্কুল শিক্ষার মান নিয়ে সম্মুখসমরে কেন্দ্র-রাজ্য। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের রিপোর্টে দাবি, দেশে মোট ৬৬টি স্কুল পরীক্ষা বোর্ড রয়েছে। যার মধ্যে তিনটি জাতীয় স্তরের বোর্ড এবং ৬৩টি রাজ্য-স্তরের বোর্ড। এর বোর্ডগুলি থেকে ২০২৪ সালে দশম এবং দ্বাদশের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ২২ লক্ষ ১৭ হাজার এবং ২০ লক্ষ ১৬ হাজার। যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, কেরল, মণিপুর, ওড়িশা এবং তেলঙ্গানাতে অনুত্তীর্ণ হয়েছিল ৬৬ শতাংশ পড়ুয়া। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে কেন্দ্রের স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিব সঞ্জয় কুমার জানিয়েছেন, দশম এবং দ্বাদশে শিক্ষার মানোন্নোয়নে কমন বোর্ড পরীক্ষার মাধ্যমেই এর সমাধান মিলতে পারে। এ ছাড়া, সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে পড়ুয়াদের মূল্যায়নের নির্দিষ্ট নিয়মকানুন, পাঠ্যক্রম তৈরি, প্রশ্নপত্র তৈরি, ক্লাসে পাশ-ফেলের নিয়ম এবং পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত সময়ের দিকেও নজর দিতে হবে।
রাজ্যগুলিতে স্কুলছুট পড়ুয়াদের সংখ্যা কমাতে এবং উচ্চশিক্ষায় আগ্রহ বাড়াতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ওপেন স্কুলিং (এনআইওএস), সমগ্র শিক্ষা মিশন এবং অভিভাবকেরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মনে করেন কুমার।
কেন্দ্রের এই বক্তব্যকে একরকম নস্যাৎ করে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “বিষয়টা এখনও আমাদের দফতরে আসেনি। তবে সংবাদমাধ্যম থেকে যা শুনছি, তাতে আমাদের রাজ্যের ক্ষেত্রে এই তথ্য খাটে না। কারণ, করোনা অতিমারির সময় ছাড়া বাংলায় গত দেড় দশকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হার কমেনি।”