কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। এ জন্য যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা সেন্ট্রাল টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট (সিটেট) হতে চলেছে ২০২৬-এর ৮ ফেব্রুয়ারি। মোট ২০ ভাষায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন পরীক্ষার্থীরা। দেশের ১৩২টি পরীক্ষাকেন্দ্রে সিটেট নেওয়া হবে।
কী কী বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে?
সিটেট-এ চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পেডাগজি, এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজ় ছাড়াও গণিত, ভাষা ও সাহিত্য, সমাজবিজ্ঞান, সমাজবিদ্যা বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়ে থাকে।
পরীক্ষা ধরণ?
ওএমআর শিটে পরীক্ষা নেওয়া হবে। দু’টি পত্রের পরীক্ষা একই দিনে হতে চলেছে। প্রথম পত্রের পরীক্ষা দুপুর আড়াইটে এবং দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা সকাল সাড়ে ৯টায় নেওয়া হবে। প্রথম পত্রের পরীক্ষা বিকেল ৫টায় এবং দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা দুপুর ১২টায় শেষ হবে।
আরও পড়ুন:
এই পরীক্ষা শুধুমাত্র তাঁরাই দিতে পারবেন, যাঁরা ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (এনসিটিই) দ্বারা নিযুক্ত প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের স্কুলে পড়াচ্ছেন। প্রথম পত্রের মাধ্যমে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি এবং দ্বিতীয় পত্রের মাধ্যমে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির জন্য নিয়োগের যোগ্যতা যাচাই করে নেওয়া হবে।
পরীক্ষার ফলাফলের পূর্ণমূল্যায়ন বা রি-চেক করার সুযোগ থাকছে না। তাই ওএমআর শিটে উত্তর, রেজিস্ট্রেশন, রোল নম্বর লেখার সময় সতর্ক থাকতে হবে। তবে, পরীক্ষার ফল প্রকাশের পাশাপাশি, ‘আনসার কি’ এবং ‘আনসার শিট’ পাওয়া যাবে। উত্তরপত্র চ্যালেঞ্জ করার জন্য ১,০০০ টাকা ফি হিসাবে দিতে হবে।
শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষায় উত্তীর্ণেরা প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণিতে শিক্ষকতার সুযোগ পাবেন। রেজিস্ট্রেশনের সময় প্রথম পত্র এবং দ্বিতীয় পত্রের মধ্যে যে কোনও একটি কিংবা দু’টি পত্রই বেছে নিতে পারবেন। প্রথম পত্রটি প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণী এবং দ্বিতীয় পত্রটির মাধ্যমে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা নির্ণয় করা হবে।
রাজ্যের কলকাতা এবং শিলিগুড়িতে পরীক্ষা নেওয়া হবে। এ ছাড়াও দেশের সমস্ত রাজ্যের নির্দিষ্ট শহরে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকছে। আগ্রহীরা অনলাইনে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন জমা দিতে পারবেন। একটি পত্রের পরীক্ষার জন্য ১,০০০ টাকা এবং দু’টি পত্রের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ১,২০০ টাকা ফি হিসাবে ধার্য করা হয়েছে।