তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসেই পরীক্ষা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরীক্ষার দিন বদল করা হোক— এ দাবি উঠেছে বার বার। এ বার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে-কে চিঠি দিল অধ্যক্ষদের সংগঠন।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষাকর্মীরা কলেজগুলির কাছে আবেদন করেছেন, ওই দিন তাঁরা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অনুষ্ঠানে যাবেন। এর পরই উপাচার্যের কাছে ফের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করে চিঠি দিলেন সুরেন্দ্রনাথ আইন কলেজ, বঙ্গবাসী সান্ধ্য কলেজ, সুরেন্দ্রনাথ সান্ধ্য কলেজের অধ্যক্ষেরা।
আরও পড়ুন:
যদিও সুরেন্দ্রনাথ সান্ধ্য কলেজের শিক্ষক সুমন নন্দী দাবি করেছেন, “আমাদের বেশিরভাগ পড়ুয়া অনেক দূর থেকে ট্রেনে, বাসে চড়ে আসেন। ওই দিন তাঁরা সময় মতো এসে পৌঁছতে পারবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তাই আমরা অধ্যক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছি, তিনি উপাচার্যের কাছে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছেন।” এর আগেই বিভিন্ন কলেজের শিক্ষাকর্মীরা সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, বহু কর্মচারী রয়েছেন যাঁরা ক্যানিং, হাসনাবাদ বনগাঁর মতো প্রত্যন্ত এলাকা থেকে কলকাতায় আসেন নিয়মিত। ২৮ অগস্ট কলকাতায় একটি বড় রাজনৈতিক সভা থাকায় ব্যাপক ভিড় ও যানজটে আশঙ্কা রয়েছে। সে কারণেই বিভিন্ন কলেজের কর্মীরা অধ্যক্ষ পরিষদের কাছে চিঠি দিয়েছেন, যাতে সেই দিন কোনও পরীক্ষা রাখা না হয়। না হলে কর্মচারীরা সমস্যায় পড়বেন, সমস্যা হবে পড়ুয়াদেরও।
উপাচার্য শান্তা দত্ত দে বলেন, "আমি একটু অবাক হলাম অধ্যক্ষরা করা চিঠি পাঠাচ্ছেন। পরীক্ষা কি কোনও পিকনিক নাকি। এই ব্যাপারে অধ্যক্ষরা সায় দিলে নিয়ম বলে কিছু থাকবে না। পরীক্ষার দিন বদলের কোনও সম্ভাবনা নেই।"
জানা গিয়েছে, স্পিড পোস্ট-এর মাধ্যমে নিখিল বঙ্গ অধ্যক্ষ পরিষদের তরফ থেকে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য কাছে। আগামী ২৮ অগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-এর প্রতিষ্ঠা দিবস। ঘটনাচক্রে, সে দিনই বিকম সেমিস্টার ৪ এবং বিএ এলএলবি সেমিস্টার ৪-এর পরীক্ষার সূচি ঘোষণা করেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গত ১ অগস্ট ওই পরীক্ষার দিন পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়ে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছিল উচ্চশিক্ষা দফতর। সে চিঠিতে জানানো হয়েছিল, ২৮ অগস্ট কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ১২ বিষয়ের পরীক্ষা রয়েছে। কলকাতা সংলগ্ন এলাকায় মিছিল এবং সভার জন্য পরীক্ষার্থীদের অসুবিধা হতে পারে। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন শান্তা দে।