কোডিং-এর মারপ্যাঁচেই চলছে ইন্টারনেটে তথ্যের আদানপ্রদান। এই কাজ শিখতে আগ্রহীদের বিজ্ঞানের পড়ুয়া হতে হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। কলা শাখায় স্নাতক হয়েছেন, এমন ব্যক্তিরাও কোডিং শেখার সুযোগ পেতে পারেন। তবে, সে জন্য সেরে নিতে হবে কিছু বিশেষ কাজ।
কারা শিখতে পারেন কোডিং?
কম্পিউটার সায়েন্স ছাড়াও কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে যাঁরা পড়ছেন, তাঁরাও স্নাতকের পাঠ্যক্রম থেকে কোডিং শেখার সুযোগ পেয়ে থাকেন। এ ছাড়াও কলা বা বাণিজ্য শাখার কোনও বিষয় নিয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি, সেলফ স্টাডি বা ‘বুটক্যাম্প ট্রেনিং’-এর মাধ্যমে কোডিং শিখে নিতে পারবেন।
কী কী বিষয় শেখা দরকার?
অনলাইনে ডিপ্লোমা কোর্স বা সার্টিফিকেট কোর্সের মাধ্যমে জাভা, সি++,পাইথনের মতো প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ়-এর ব্যবহার শিখে নেওয়া যেতে পারে।
— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
পাশাপাশি, অপারেটিং সিস্টেম ফান্ডামেন্টালস, নেটওয়ার্কিং বেসিকস; এইচটিএমএল, সিএসএস, জাভাস্ক্রিপ্ট— ওয়েব ফান্ডামেন্টালস, ডিবাগিং, ডেটাবেসের সংক্রান্ত ক্লাসও অনলাইন বা অফলাইন ক্লাসের মাধ্যমে শিখতে হবে।
ইন্টার্নশিপ আবশ্যক:
কোডিং শেখার পর তার প্রয়োগ কতটা সঠিক ভাবে করতে পারছেন, তা যাচাই করার জন্য ইন্টার্নশিপ করা প্রয়োজন। সরকারি এবং বেসরকারি বহুজাতিক সংস্থায় নবীন স্নাতকদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। তাতে কাজ শেখার পাশাপাশি, কোথায় কী ভুল হচ্ছে— সেই বিষয়েও ওয়াকিবহাল হওয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে।
ডিগ্রি আবশ্যক?
কোডিং মূলত দক্ষতানির্ভর কাজ। সে ক্ষেত্রে কম্পিউটার সায়েন্স বা কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে ডিগ্রি না থাকলেও বিষয়বস্তুর খুঁটিনাটি শিখে নিতে পারলেই হল। প্রতিনিয়ত কোডিং নিয়ে যে ধরনের আপডেট আসে, সেই সমস্ত বিষয়ে ওয়াকিবহাল থাকা এবং সেগুলি নিয়ে নিয়মিত চর্চা করতে পারলেই কাজ করার সুযোগ পাওয়া যাবে।
এ ক্ষেত্রে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (আইআইটি, এনআইটি) থেকে ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেট কোর্স করে নিতে পারলে বিভিন্ন সংস্থায় চাকরি পাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়াও নিজের কাজের পোর্টফোলিও তৈরি করে নিতে হবে, যাতে ফ্রিল্যান্সিং-এর দিকেও এগোনোর সুযোগ থাকে।