শিক্ষাকর্মী নিয়োগের আবেদনের সময়সীমা বাড়িয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। তার পরও সার্ভার সমস্যায় আবেদন করতে অসুবিধা হচ্ছে প্রার্থীদের।
গত ৮ ডিসেম্বর বিকেল ৫ পর্যন্ত গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি নিয়োগে পরীক্ষায় আবেদনের সময় ধার্য করা হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরেই প্রযুক্তিগত সমস্যার ফলে আবেদন করতে পারছিলেন না প্রার্থীরা। কেউ অভিযোগ করেছিলেন নির্দিষ্ট পাতাই পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ আবার রেজিস্ট্রেশন করে লগইন করতে পারছিলেন না। অভিযোগ উঠতেই আবেদনের সময়সীমা বাড়িয়ে ১২ ডিসেম্বর করে দেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন।
আরও পড়ুন:
তবে প্রার্থীদের অভিযোগ সোমবার সকাল থেকেও চেষ্টা আবেদন করতে পারেননি অনেকে। মঙ্গলবার ভোর ৪টে থেকে পরিস্থিতি খানিক স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। চাকরিহারা ‘যোগ্য’ গ্রুপ-সি কর্মী, সত্যজিৎ ধর বলেন, “প্রাথমিক ভাবে পরীক্ষায় বসব না বলে ঠিক করেছিলাম। তাই আবেদনই করিনি। কিন্তু পরে নানা কারণে মত বদলাতে বাধ্য হই। গত ৭ ডিসেম্বর আবেদন করার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু ওয়েবসাইট সমস্যার কারণে করতে পারিনি। অবশেষে মঙ্গলবার ভোট ৪টে নাগাদ আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পেরেছি।”
তবে এখনও সমস্যা রয়েছে বিভিন্ন জেলায়, জানা গিয়েছে এমনই। রাজ্যের বাইরে থেকেও আবেদন করছেন অনেকে। সে ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হয়েছে অনেককেই। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত অনেকে আইডি পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে গিয়ে বিফল হয়েছেন। আবার অনেকে যাঁরা সোমবার মধ্যরাতের পর আবেদন করেছেন, তাঁরা বুঝতে পারছেন না আদৌ আবেদন সফল হয়েছে কি না।
তেলঙ্গানা থেকে নিজের বোনের জন্য আবেদন করছেন অনুভব হক। তিনি বলেন, “গত কয়েকদিন ধরেই ওয়েবসাইট বিভ্রাটের কারণে আবেদন করতে পারছিলাম না, সোমবার রাতে পেরেছি। কিন্তু এখনও নিজের আইডি পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে সঠিক তথ্য জানতে পারছি না। এ দিকে আমার আবেদনের টাকা বা অন্য তথ্য জমা পড়ে গিয়েছে।”
এ প্রসঙ্গে অবশ্য সরাসরি মুখ খুলতে নারাজ স্কুল সার্ভিস কমিশন। তবে সূত্রের খবর, ওই ওয়েবসাইটে একসঙ্গে ১৪ হাজার মানুষ কাজ করতে পারেন। কিন্তু গত কয়েক দিনে পশ্চিমবঙ্গ ও পার্শ্ববর্তী নানা রাজ্য থেকে অনেকেই ওয়েবসাইট ব্যবহার করার চেষ্টা করছেন। শুধু গ্রুপ-সি বা গ্রুপ-ডি নিয়োগের আবেদনের জন্য নয়। ওই ওয়েবসাইট ব্যবহার করে অন্য আবেদনও করা যাচ্ছে, তার ফলে ভিড় বাড়ছে।
উল্লেখ্য, ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্রুপ সি গ্রুপ ডি আবেদনের সময়সীমা বাড়িয়েছে কমিশন। সোমবার পর্যন্ত আবেদনের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৪ লাখেরও বেশি।