Advertisement
E-Paper

চলতি মাসেই স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ, আশাবাদী শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু

কলকাতা, যাদবপুরের মতো রাজ্যের ১৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের মধ্যে মতভেদ হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি উদয়উমেশ ললিত কমিটিকে ভার দেওয়া হয় উপাচার্য নির্বাচনের।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২৫ ২৩:০৩

ছবি: সংগৃহীত।

কোন‌ও বিশ্ববিদ্যালয় আর ‘অস্থায়ী’ উপাচার্য থাকবেন না। ২৮ অগস্টের মধ্যে রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসবেন স্থায়ী উপাচার্য। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী পূর্তি উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে এসে জানালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে ২৮ অগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে। তাহলে কি স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ হলে সেদিন পরীক্ষার দিন পরিবর্তন করা হবে। এই প্রশ্নের উত্তরে ব্রাত্য বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট বলেছে ২৮ অগস্টের পর কোন‌ও 'কেয়ারটেকার' উপাচার্য আর রাখা যাবে না। সম্মানীয় বিচারপতি উদয়উমেশ ললিত যাঁদের ঠিক করবেন আশা করি ২৮ তারিখের মধ্যে তাঁরা উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ হবেন। ঐ দিন পরীক্ষা নেওয়া যাবে কি না সেটা পরে দেখা যাবে।’’

প্রসঙ্গত, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে জানিয়েছিলেন, কোন‌ও রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার দিন পরিবর্তন করবেন না। এতে বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধিকার নষ্ট হবে।

কলকাতা, যাদবপুরের মতো রাজ্যের ১৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের মধ্যে মতভেদ হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি উদয়উমেশ ললিত কমিটিকে ভার দেওয়া হয় উপাচার্য নির্বাচনের। ১৯ থেকে ২১ অগস্ট উপাচার্য পদের প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেবে ওই কমিটি।

এই সাক্ষাৎকার পর্বের কারণ ১৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো ক্রমতালিকায় প্রথম স্থানে থাকা নামে আপত্তি তুলেছিলেন রাজ্যপাল। সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য পাঠানো তালিকার দ্বিতীয় স্থান ও আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে তৃতীয় স্থানে থাকা নামগুলিকে উপাচার্যপদে উপযুক্ত বলে মনে করেছিলেন আচার্য। অপর দিকে এই তালিকায় নতুন নাম দেওয়ার ক্ষেত্রে আপত্তি ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। এই বিরোধ মেটাতেই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ললিতের কমিটির উপর আস্থা রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট।

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ললিতের নেতৃত্বে সার্চ কাম সিলেকশন কমিটি ইতিমধ্যে আবেদনকারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, দক্ষতা ও অন্যান্য বিষয়গুলি খতিয়ে দেখেছে প্রথম পর্বে। দ্বিতীয় পর্বে এই কমিটি প্রধানকেই উপাচার্য বাছাই করার পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

অন্যদিকে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফল ও অভিন্ন পোর্টালের মেধা তালিকা প্রকাশ নিয়ে ব্রাত্য বলেন, "সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উপর হাইকোর্ট যে অন্য এক রায় দেবে তা আমাদের জানা ছিল না। আমরাও বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। ভর্তি আটকানোর অতি সক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে।"

Bratya Basu VC appointment Permanent VC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy