Advertisement
E-Paper

রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে র‍্যাগিং নিয়ে সতর্কবার্তা শিক্ষামন্ত্রীর

চার দিন ধরে ভর্তির ভেরিফিকেশন এর কাজ চলছে কলেজগুলিতে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ২ লক্ষ ৪৫ হাজার পড়ুয়া ইতিমধ্যে তাদের প্রথম এবং দ্বিতীয় পছন্দের কলেজে নাম নথিভূক্তকরণ ও নথি যাচাইয়ের পুরো প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২৪ ২৩:৫২
স্কটিশচার্চ কলেজিয়েট স্কুলের একটি অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী।

স্কটিশচার্চ কলেজিয়েট স্কুলের একটি অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী। প্রতীকী চিত্র।

আগামী সপ্তাহ থেকেই রাজ্যের সমস্ত কলেজে শুরু হচ্ছে স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষের ক্লাস। তার আগে র‍্যাগিং নিয়ে সতর্ক করলেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সিনিয়র ও জুনিয়রদের মিলেমিশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “র‍্যাগিং একটি বিচ্ছিন্ন ব্যাধি। সিনিয়রদের বলব, জুনিয়রদের ভালবাসো। আর জুনিয়ারদের বলব সিনিয়রদের সম্মান করো ও ভালবাসো।”

প্রথম দফার ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর সশরীরে কলেজে গিয়ে ভেরিফিকেশনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ৩১ জুলাই থেকে। যা চলবে ৬ অগস্ট পর্যন্ত। প্রথম রাউন্ডে টাকা জমা দিয়ে সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে ৪ লক্ষ ৩ হাজার ৩৪ জন পড়ুয়া। চার দিন ধরে এই ভেরিফিকেশনের কাজ চলছে কলেজগুলিতে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ২ লক্ষ ৪৫ হাজার পড়ুয়া ইতিমধ্যে তাদের নিজস্ব প্রথম এবং দ্বিতীয় পছন্দের কলেজে নাম নথিভূক্তকরণ ও ভেরিফিকেশনের পুরো প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেছে।

শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, শনিবার রাত পর্যন্ত প্রায় তিন লক্ষ পড়ুয়া এই ভেরিফিকেশনের কাজ সম্পন্ন করবে।

গত বছর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিং ও তার জেরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে শিক্ষাক্ষেত্রে রাজ্যের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছিল। তাই এ বার প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরুর আগেই সতর্ক শিক্ষামন্ত্রী এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কর্তৃপক্ষ।

যাদবপুরের গত বছরের ঘটনা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “বর্তমান অস্থায়ী উপাচার্য র‍্যাগিং আটকাতে নানা ব্যবস্থা নিয়েছেন। এবং বিভিন্ন সময়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা-ও তিনি অবগত করছেন। আশা করছি, এই উদ্যোগের ফলে এই ধরনের ঘটনা রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলিতে অনেকটাই কমবে।”

প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই ক্যাম্পাসকে র‍্যাগিং মুক্ত করতে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের আলাদা হস্টেলে রাখার পাশাপাশি ইউজিসির নির্দেশে অ্যান্টি র‍্যাগিং মনিটরিং সেল গঠন করেছে। এছাড়াও হস্টেলের করিডরে ক্যামেরা বসানোরও ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ । তার পরেও শিক্ষক মহলের একাংশের প্রশ্ন, রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে র‍্যাগিং পুরোপুরি নির্মূল হবে কি?

Bratya Basu Ragging in JU
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy