সংগৃহীত চিত্র।
১৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে একাদশ শ্রেণির প্রথম সিমেস্টার। আর তার তিন দিন আগেও কাটল না স্কুলগুলির ধোঁয়াশা। তার কারণ সিমেস্টারের নির্ঘণ্টের মধ্যেই পড়েছে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিবস। এ ছাড়াও শনিবারও পড়েছে পরীক্ষা। কেন এই দিনগুলিতে পরীক্ষা ফেলা হল? আর দিন পরিবর্তন নিয়ে স্কুলগুলির কাছে কেন স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হল না? প্রশ্ন শিক্ষক মহলের একাংশের।
কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যাণ্ট হেডমাস্টার্স অ্যাণ্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, “প্রথমত যেখানে স্কুল প্রশ্ন করে পরীক্ষা নিচ্ছে, সেখানে শিক্ষা সংসদের এই রুটিন করে দেওয়াটা অহেতুক। স্কুলগুলির ক্ষেত্রে বোঝা বলে মনে করি। দু’টি শনিবারে পরীক্ষা ফেলা কতটা জরুরি ছিল?”
বেশ কিছু স্কুলের শিক্ষকের বক্তব্য, শনিবারে স্কুল বেলা ১.৩০ পর্যন্ত। তার পরে পরীক্ষা চালানোটা অহেতুক চাপ, যেখানে সোম থেকে শুক্রবার পর্যন্ত যথেষ্ট সময় থাকছে। তাই শনিবার স্কুলগুলি যাতে পরীক্ষা বদল করে অন্য দিনে নিতে পারে তার জন্য সংসদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবি জানান তিনি।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “শনিবার কেন পরীক্ষা, এই নিয়ে অহেতুক বিতর্ক তৈরি হচ্ছে। উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা সব সময় শনিবার দিন হয়। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সঙ্গে একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা গ্রহণ করা হয় প্রত্যেক বার। সেখানে প্রথম ভাগে দ্বাদশের পরীক্ষা হয়। আর দ্বিতীয় ভাগে একাদশের পরীক্ষা হয়ে থাকে। তাই এ বিষয়ে নিয়ে প্রশ্ন ওঠা উচিত নয়।”
শনিবারে পাশাপাশি ২৬ সেপ্টেম্বরে দর্শনের পরীক্ষার দিন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিন পড়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি স্কুলে সাড়ম্বরে নানা অনুষ্ঠান পালিত হয় বিদ্যাসাগরের জন্মদিন উপলক্ষে। এ প্রসঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ জানিয়েছে, সরকারের তরফ থেকে পুর্ণ দিবস ছুটি বা অর্ধদিবস ছুটির ঘোষণা করা হয়নি। যার ফলে স্কুলও ছুটি থাকে না। বিদ্যাসাগরের জন্মদিন পালন করা হয় সকালে। পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে বিকালে। অসুবিধাটা কোথায়?
চিরঞ্জীব বাবু বলেন, “এ বছর যে হেতু উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সঙ্গে একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা গ্রহণ করা হচ্ছে না। তাই স্কুলগুলি চাইলে দিন পরিবর্তন করতে পারে। তবে সেটা শুধুমাত্র এ বছরই ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এর জন্য আলাদা করে কোন বিজ্ঞপ্তি শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে দেওয়া হবে না।”একাদশের প্রথম সিমেস্টারের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে। চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “আমরা কাউন্সিলের সভাপতিকে সমস্যার কথা জানিয়েছিলাম। উনি মুখে যেটা বলছেন, সেটা লিখিত ভাবে জানিয়ে দিলে তো সব রকমের বিভ্রান্তি দূর হয়, এত জটিলতা থাকে না।”নির্ঘণ্ট অনুযায়ী, প্রতিদিন বিকেল ৩টে থেকে ৪.১৫ মিনিট পর্যন্ত পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। মোট এক ঘণ্টা ১৫ মিনিটের পরীক্ষা। ভিসুয়াল আর্টস, মিউজিক এবং ভোকেশনাল সাবজেক্ট-এর ক্ষেত্রে পরীক্ষার সময়সীমা ৪৫ মিনিট। তবে পরীক্ষা শুরু হবে বিকেল ৩টে থেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy