পূর্ব বর্ধমানের কালনায় মিড ডে মিল নিয়ে ঘটনার জের। এ বার রাজ্যের সমস্ত স্কুলে পড়ুয়াদের মিড ডে মিল প্রতিদিন দেওয়া হচ্ছে কি না, তার জন্য চলবে নজরদারি।
পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর ঘটনার পর নয়া সিদ্ধান্ত। এ বার প্রতিদিন ছাত্রছাত্রীদের গরম মিড ডে মিল পরিবেশন করতে হবে। শনিবারও গরম মিড ডে মিল দিতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। মিড ডে মিল প্রতিদিন দেওয়া হচ্ছে কি না এবং কখন দেওয়া হচ্ছে, তা রিপোর্ট আকারে এসএমএস মারফত পাঠাতে হবে। প্রতিদিন বিকেল ৪টের মধ্যে বাধ্যতামূলক এসএমএস করে রিপোর্ট পাঠাতে হবে।
যদি কোনও স্কুল মিড ডে মিল দেয় অথচ এসএমএস করে না পাঠায় তাহলে ধরে নেওয়া হবে সেই স্কুলে মিড ডে মিলের খাবার দেওয়া হয়নি। তখন তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। প্রতিটি জেলায় নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে রাজ্যের তরফে। আগামী ৭ই জুলাই থেকে তা কার্যকর হবে।
ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী-১ ব্লকের নাদনঘাট থানা এলাকার কিশোরীগঞ্জ মনমোহনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। সেখানে ধর্মের উপর ভিত্তি করে বিভাজন তৈরির অভিযোগ উঠেছিল। স্কুলের পড়াশোনা একসঙ্গে করলেও পড়ুয়াদের জন্য মিড ডে মিলের বাসনকোসন হাতা, খুন্তি, রান্নার ওভেন থেকে শুরু করে রাঁধুনি পর্যন্ত আলাদা করা হয়েছিল। অভিযোগ, হিন্দু-মুসলিম বিভেদ বজায় রাখার জন্য এই আলাদা ব্যবস্থা।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে আমাদের রাজ্যের বর্তমান সরকার ও প্রধান বিরোধী দল বিভাজনের বিষাক্ত বিষ এমন ভাবে ছড়িয়েছে যে তা বাচ্চাদের মিড ডে মিলের রান্নাঘর ও খাওয়ার টেবিল পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। এই ধরনের মানসিকতা পোষণ করা ঘৃণ্য অপরাধ। সরকারের তরফে শুধু পরিদর্শক দল পাঠালেই হবে না। কঠোর ও উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে হবে সেই সব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যাঁরা এ রকম বিভাজনকে উৎসাহিত করেন।”