Advertisement
০৬ মে ২০২৪
West Bengal Board of Primary Education

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা টেট- এ আবেদন জানতে গেলে কী কী যোগ্যতা প্রয়োজন

শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে নেওয়ার স্বপ্ন বহু ছেলেমেয়েরই। এবছরে প্রাথমিক শিক্ষক পদের চাকরি টেট-এ বসার জন্য নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন ।

টেট পরীক্ষায় বসার যোগ্যতা

টেট পরীক্ষায় বসার যোগ্যতা সংগৃহীত ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮:০০
Share: Save:

শিক্ষকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার স্বপ্ন বহু ছেলেমেয়েরই। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে পুনরায় টেট (প্রাথমিক শিক্ষক পদে যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা) পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণার পর ছাত্রছাত্রীদের একটি বর অংশ স্বভাবতই জানতে ইচ্ছুক, এই পরীক্ষায় বসার জন্য কী কী যোগ্যতার প্রয়োজন। এই প্রতিবেদনে সেই তথ্যই বিস্তারিত জানানো হচ্ছে।

টেট পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াটি মূলত পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দ্বারাই পরিচালিত হয়ে থাকে। এই পরীক্ষার জন্য আবেদন জানানোর প্রক্রিয়া খুব শীঘ্রই চালু হতে চলেছে বলে পর্ষদ জানিয়েছে। কিন্তু আবেদন জানানোর জন্যেও কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতার মাপকাঠি রাখা হয়েছে। সেই যোগ্যতার মাপকাঠিগুলি মেলাতে পারলেই প্রার্থীরা এই পরীক্ষায় আবেদন জানাতে পারবেন। যদিও এই পরীক্ষায় বসার জন্য যে যোগ্যতা চাওয়া হয় ছাত্রছাত্রীদের থেকে, তা প্রতি বছরই নানা কারণে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার্স এডুকেশন-এর নির্দেশিকা অনুযায়ী পাল্টেও যায়। তবু সাধারণ ভাবে যে যোগ্যতার মানদণ্ডগুলি ধার্য করা হয়, সেগুলি হল--

শিক্ষাগত যোগ্যতা-

যে সমস্ত প্রার্থীরা প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বসতে চান, তাঁদের ক্ষেত্রে--

১. প্রার্থীদের উচ্চমাধ্যমিক বা তার সমতুল পরীক্ষায় ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর এবং প্রাথমিক শিক্ষায় ২ বছরের ডিপ্লোমা বা ডিগ্রি (ডিএলএড) থাকতে হবে।

অথবা

২. প্রার্থীদের উচ্চমাধ্যমিক বা তার সমতুল পরীক্ষায় ন্যূনতম ৫০শতাংশ নম্বর এবং ৪ বছরের ব্যাচেলর অব এলিমেন্টারি এডুকেশন (বিএলএড) ডিগ্রি থাকতে হবে।

অথবা

৩. প্রার্থীদের উচ্চমাধ্যমিক বা তার সমতুল পরীক্ষায় ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর এবং স্পেশাল এডুকেশনে ডিপ্লোমা থাকতে হবে, যা রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার দ্বারা স্বীকৃত।

অথবা

৪. প্রার্থীদের স্নাতক হতে হবে ও প্রাথমিক শিক্ষায় ডিপ্লোমা (ডিএলএড) ডিগ্রি থাকতে হবে।

এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য, এসসি, এএসটি, ওবিসি এ, ওবিসি বি, বিশেষ ভাবে সক্ষম,অব্যাহতিপ্রাপ্ত বিভাগের অন্তর্ভুক্ত, প্ৰাক্তন সেবাকর্মী এবং কর্মরত অবস্থায় প্রয়াতের আত্মীয়ের তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের উচ্চমাধ্যমিক বা তার সমতুল পরীক্ষায় ৪৫ শতাংশ নম্বর চাওয়া হয়।

যে সমস্ত প্রার্থীরা ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে চান, তাঁদের ক্ষেত্রে--

১. প্রার্থীদের বিএ, বিএসসি বা সমতুল পরীক্ষায় পাশ হতে হবে।

২. প্রার্থীদের বিএড বা মাধ্যমিক পরীক্ষায় ন্যূনতম ৫০শ্তাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করতে হবে।

৩. প্রার্থীদের ব্যাচেলর অব এলিমেন্টারি এডুকেশন (বিএলএড)-এ প্রথম চার বছরের পরীক্ষায় পাশ করতে হবে।

৪. প্রার্থীদের বিএসসি/ বিএ/ ডিএড-এ অন্তিম দু'বছরের পরীক্ষায় ৪৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করতে হবে।

বয়ঃসীমা -

প্রার্থীদের বয়ঃসীমা ১৮ বছর থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত ধরা হয়েছে। বয়স এর বেশি বা কম হলে আবেদনপত্র জমা নেওয়া হবে না।

জাতিগত যোগ্যতা--

একমাত্র ভারতের অধিবাসীরাই এই পরীক্ষায় আবেদন জানাতে পারবেন।

মাধ্যম--

এ ছাড়াও যে মাধ্যমে স্কুলে পড়ানোর আবেদন পরীক্ষার্থীরা জানাবেন, তাঁকে সেই ভাষায় পড়তে,লিখতে ও কথা বলতে জানতে হবে।

এই বছরে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হওয়ার কথা। সেই সময় পরীক্ষার্থীদের আবার পর্ষদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট -এ গিয়ে সমস্ত যোগ্যতার মাপকাঠিগুলি মিলিয়ে দেখে নিতে হবে, কোন রদবদল হয়েছে কিনা দেখার জন্য। এর পর আগ্রহী প্রার্থীরা সরাসরি আবেদন করতে পারবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE