কৃত্রিম মেধা বিনোদনের গণ্ডি পেরিয়ে কাজের দুনিয়ায় প্রবেশ করেছে। মুহূর্তের মধ্যে ছবি, ভিডিয়ো, গুরুত্বপূর্ণ নথি তৈরি করে দিচ্ছে। তার সঙ্গে বাস্তবের মিল কতটা, সেই সীমারেখাও ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কৃত্রিম মেধা কতটা নৈতিকতা মেনে চলবে, এই প্রযুক্তিকে কতটা সুরক্ষিত ভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে— তা নিয়েও শুরু হয়েছে চর্চা।
‘এআই এথিক্স’-এর মাধ্যমে এই সব শেখানো সম্ভব। দর্শন, আইন এবং প্রযুক্তির মেলবন্ধনে তৈরি করা হয়েছে ওই বিষয়। কগনিটিভ সায়েন্স, আইন, কম্পিউটার সায়েন্স, দর্শন, সমাজবিজ্ঞানের মূল ভাবনাগুলি নিয়েই এর চর্চা। তবে, স্নাতক স্তরে ‘এআই এথিক্স’ নিয়ে আলাদা করে পড়াশোনার সুযোগ নেই। উল্লিখিত বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের পর স্নাতকোত্তর স্তরে সোস্যাইটি / ডিজিটাল হিউম্যানিটিজ়, রেসপন্সিবল ইনোভেশন, এআই অ্যান্ড এথিক্স বিষয়গুলি নিয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে।
আইআইটি মাদ্রাজ, আইআইটি হায়দরাবাদ, আইআইএম ব্যাঙ্গালোর-এর মতো প্রতিষ্ঠানে কৃত্রিম মেধার একাধিক বিষয়ের মধ্যে এটিও চর্চায় রয়েছে। এ ছাড়াও অনলাইনে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় এই বিষয়ে সার্টিফিকেট কোর্সও করার সুযোগ পেতে পারেন।
— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
কী কী বিষয় জানতে হয়?
প্রযুক্তি এবং নীতিশিক্ষার সমন্বয়ে তৈরি হওয়া বিষয় নিয়ে চর্চা করতে হলে বেশ কিছু সাধারণ ধারণা রাখা দরকার। এক দিকে মেশিন লার্নিং ফান্ডামেন্টালস, ডেটা সায়েন্স অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিক্স, এআই মডেল এভালুয়েশন, পাইথন বা আর প্রোগ্রামিং; অন্য দিকে ডিয়নটোলজি-ইউটিলাটিউরিউনিজম, ডেটা গর্ভনেন্স, প্রাইভেসি ল, রিস্ক অ্যানাসিস, পলিসি ড্রিফটিং-এর মতো বিষয় নিয়ে নিয়মিত চর্চায় থাকা দরকার।
কাজের সুযোগ:
সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে পড়াশোনার পর ‘এআই এথিক্স’ অফিসার, রেসপন্সিবল এআই কনসালট্যান্ট, এআই পলিসি অ্যানালিস্ট, ডেটা প্রাইভেসি স্পেশ্যালিস্ট, এআই গর্ভন্যান্স রিসার্চার পদে কাজের সুযোগ থাকে।