শখের ফোটোগ্রাফি সরকারি চাকরির স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। লেন্সের মধ্যে দিতে দেখা জীবনের ছবি তোলার অভিজ্ঞতা থাকলে এই স্বপ্ন সত্যি হওয়া সম্ভব। এর আগে ফোটোগ্রাফি কিংবা চিত্রশিল্প সম্পর্কে ডিগ্রি এবং ডিপ্লোমা কোর্সের সন্ধান দেওয়া হয়েছিল। এবার সেই কোর্স পড়ার পর সরকারি চাকরির সুযোগ কী ভাবে পাওয়া যেতে পারে, তা নিয়ে রইল বিশদ তথ্য।
ফোটোগ্রাফি নিয়ে ব্যাচেলর অফ ফাইন আর্টস (বিএফএ) এবং ডিপ্লোমা করার পর সরকারি চাকরির চেষ্টা করতে চাইলে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসতে হবে।
কী কী পরীক্ষা নেওয়া হয়?
- সমস্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের নিজস্ব ফোটোগ্রাফিক অফিসার এবং সিনিয়র ফোটোগ্রাফিক অফিসার থাকে। ওই পদে নিয়োগের জন্য ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের তরফে পরীক্ষার আয়োজন করা হয়।
- স্টাফ সিলেকশন কমিশনের তরফেও ফোটোগ্রাফার এবং সিনিয়র ফোটোগ্রাফার পদে কর্মী নিয়োগ করা হয়ে থাকে।
— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
কারা পরীক্ষা দিতে পারবেন?
যে কোনও বিষয়ে স্নাতকেরা এই পরীক্ষা দিতে পারেন। তবে, এ ক্ষেত্রে পূর্বে অডিয়ো-ভিস্যুয়াল মাধ্যমে ফোটোগ্রাফার হিসাবে কাজের অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন। কিছু কিছু পরীক্ষার ক্ষেত্রে সিনেমাটোগ্রাফি, ফোটোগ্রাফি বিষয়ে ডিপ্লোমা থাকা বাধ্যতামূলক। তবে, এ ক্ষেত্রে বয়স ৩০ থেকে ৩৩ বছরের মধ্যে হওয়া বাঞ্ছনীয়।
অন্যান্য বিভাগে নিয়োগ:
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক, সংস্কৃতি মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা কিংবা বিভাগে আলাদা করেও ফোটোগ্রাফার নিয়োগ করা হয়। এ ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যম, মিউজ়িয়ামের মতো ক্ষেত্রে কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকলে নিয়োগে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
পোর্টফোলিও:
ফোটোগ্রাফির কাজের শুরুতে ফিল্যান্সার বা চুক্তি ভিত্তিক কর্মী হিসাবে অভিজ্ঞতা অর্জনের পাশাপাশি পোর্টফোলিও সাজানো প্রয়োজন। কতটা কাজ শিখেছেন, কতটা কাজ জানেন— তার সবটাই যেন ওই প্রোফাইল থেকে সরকারি বিভাগে বা মন্ত্রক যাতে যাচাই করে নিতে পারেন।