Advertisement
E-Paper

গবেষণার হাত ধরে আসুক সফলতা, বার্তা সোনালি চতুর্ভুজ প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ারের

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (আইআইইএসটি), শিবপুরের ক্যাম্পাসে সুস্থায়ী উন্নয়ন নিয়ে উন্নতমানের গবেষণা এবং পড়াশোনার জন্য বিশেষ কেন্দ্র তৈরিতে বিশেষ অবদান রয়েছে সোনালি চতুর্ভুজ প্রকল্পের অন্যতম সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৫ ১৫:৪৯
Civil engineer Sudhanshushekhar Chakraborty is speaking in the inaugural event.

কেন্দ্র উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার সুধাংশুশেখর চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত।

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (আইআইইএসটি), শিবপুরের ক্যাম্পাসে বিশ্বমানের পরিকাঠামো তৈরির নেপথ্যে প্রাক্তনীদের বিশেষ অবদান রয়েছে। তাঁদের সাহচর্য এবং সহযোগিতায় দু’টি বিশেষ গবেষণা কেন্দ্র চালু হয়েছে। এই কেন্দ্র উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, প্রতিষ্ঠানের চেয়ারপার্সন তেজস্বিনী অনন্তকুমার, অধিকর্তা ভিএমএসআর মূর্তি-সহ বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপক এবং শিক্ষার্থীরা।

প্রতিষ্ঠানের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তনী তথা সোনালি চতুর্ভুজ প্রকল্পের অন্যতম সিভিল ইঞ্জিনিয়ার সুধাংশুশেখর চক্রবর্তীর আর্থিক সহযোগিতায় তৈরি হয়েছে ‘চিরশ্রী সেন্টার ফর সাস্টেনেবল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট’। এই কেন্দ্রের মাধ্যমে সুস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি রূপান্তরের বিভিন্ন বিষয় পড়ুয়াদের শেখানো হবে। একই সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে চর্চার জন্য গবেষণার পাশাপাশি, ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে যাতে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়, সেই বিষয়টি নিয়েও প্রস্তাব দিয়েছেন অধ্যাপক সুধাংশুশেখর চক্রবর্তী।

Minister of State for Education Sukanta Majumdar was present at the inauguration ceremony of the center.

কেন্দ্র উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। নিজস্ব চিত্র।

আর্থিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানকে ১০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন প্রাক্তনী। তবে, এই অনুদান দেওয়ার বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, কয়েক দশকের অভিজ্ঞতাকে পুঁজি বানিয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তনী হিসাবে কিছু কাজ করার পরিকল্পনা ছিল। সেই পরিকল্পনাকে বাস্তব রূপ দিতে অর্জিত অর্থকে সঠিক ভাবে ব্যবহার করাও সমান ভাবে প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, “এই কেন্দ্র থেকে শক্তি রূপান্তর (এনার্জি ট্রানজিশন), দুর্যোগ প্রতিরোধ, বিকল্প পদ্ধতিতে নির্মাণকার্যের কৌশল সম্পর্কিত বিষয়ে নিয়মিত ভাবে চর্চা চলবে। একই সঙ্গে শিল্পক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায় আগামী দিনে পড়ুয়ারা হাতেকলমে কাজ শেখারও সুযোগ পাবেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গবেষণা বা পঠনপাঠনের জন্য যে পরিকাঠামো তৈরী করা প্রয়োজন, সেই বিষয়গুলিকে যথাযথ ভাবে প্রতিষ্ঠা করা এবং নবীনদের ফান্ডামেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং শাখায় সফল করাই আসল লক্ষ্য।”

উল্লেখ্য, অধ্যাপক বিদ্যাসাগর সেতু, নিউ যমুনা ব্রিজ, মুম্বই ট্রান্স হারবার লিঙ্ক, নিবেদিতা সেতু-র মতো প্রকল্পে বিশেষ কারিগরি দক্ষতার অবদান রেখেছেন। এ ছাড়াও তিনি ভারতীয় সড়ক পরিবহণ ব্যবস্থায় বিশেষ পরিবর্তনের কারিগর হিসাবে বিশেষ সম্মান অর্জন করেছেন।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy