দু’মাসের জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী রেজিস্ট্রার হলেন সেলিমবক্স মণ্ডল। তার পরই এই নিয়োগকে বেআইনি দাবি করে উপাচার্যকে চিঠি দিলেন এগ্জ়িকিউটিভ কমিটির সদস্যরা।
২০২৪ সালে অস্থায়ী রেজিস্ট্রার হিসাবে কাজে যোগ দেন ইন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে ছ’মাসের জন্য তার মেয়াদ থাকলেও তা পারে আরও ছয় মাস বৃদ্ধি করা হয়। গত শনিবার সেই মেয়াদ শেষ হয়েছে। তার পরই উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছেন, পরবর্তী দু’মাসের জন্য বাংলার বিভাগীয় প্রধান সেলিমবক্স মণ্ডলকে অস্থায়ী হিসেবে রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ করা হচ্ছে। সেখানে তিনি ১৯৮১ সালের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ১০(৬) ধারার কথা উল্লেখ করেছেন। এই আইন মেনেই সেলিমকে এই পদে নিযুক্ত করছেন বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
কিন্তু সেলিম দায়িত্ব নেওয়ার পরই মঙ্গলবার এগ্জ়িকিউটিভ কাউন্সিল-এর (ইসি) এক তৃতীয়াংশ সদস্য এই নিয়োগকে বেআইনি দাবি করে চিঠি দিয়েছেন উপাচার্যকে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিপাকের অধ্যাপক ও ইসি সদস্য মনোজিৎ মণ্ডল বলেন, “এই নিয়োগ নিয়ম মেনে হয়নি। উপাচার্য স্বৈরতান্ত্রিক ক্ষমতা বলে রেজিস্ট্রার নিয়োগ করেছেন। সোমবার দু’ঘণ্টা ইসি বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু তিনি সেখানে না করে ইসি সদস্যদের উপেক্ষা করে এই বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করেছে।”
মনোজিৎ মণ্ডলের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ে সেলিমের পরিচয় রয়েছে সিপিএম ঘনিষ্ঠ হিসাবে। সোমবারই তাঁর অস্থায়ী রেজিস্ট্রার পদে বসা নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। সে দিনই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে পাঠানো মনোজিতের এক দীর্ঘ হোয়াট্সঅ্যাপ বার্তার স্ক্রিনশট প্রকাশ্যে আসে। মনোজিৎ তৃণমূলের শিক্ষক-অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার প্রথম সারির সদস্য। তিনি অভিযোগ করেছেন, সেলিমবক্স মণ্ডল নামে এক অধ্যাপককে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) পদে নিয়োগ করার জন্য ব্রাত্য ‘জোরদার সুপারিশ’ করেছেন এবং উপাচার্যের উপরে ‘চাপ সৃষ্টি’ করেছেন।
সেলিমবক্স যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হওয়ার পাশাপাশি কলেজ সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা নিয়ামক পদেও রয়েছেন। মঙ্গলবার তিনি বলেন, “আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক। আমাকে উপাচার্য একটি দায়িত্ব দিয়েছেন আমি সেই দায়িত্ব গ্রহণ করেছি এবং তা পালন করব।”