যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব পরা নিয়ে বিতর্ক। মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলবেন রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনের সদস্যরা। তার আগে, সোমবার তদন্ত কমিটি গঠন করলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ তানভীর নাসরিনের পৌরোহিত্যে এই কমিটিতে থাকবেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সুবর্ণকুমার দাস, যিনি একই সঙ্গে এসসি ও এসটি সেলের লিয়াজঁ অফিসার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যনির্বাহী পরিষদের আচার্য মনোনীত সদস্য কাজি মাসুম আখতার। প্রেজ়েন্টিং অফিসার হিসাবে দেওয়া হয়েছে ডেপুটি-রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত) উজ্জ্বলকুমার মণ্ডলকে।
আরও পড়ুন:
সব দিক খতিয়ে দেখে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে কমিটি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, বিষয়টির নিরপেক্ষ ও পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্যই উপাচার্যের নির্দেশে এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত ২৪ ডিসেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে দুই পড়ুয়া হাতে পোস্টার নিয়ে যোগ দেন। সেখানে লেখা ছিল দু’টি বিষয়— ‘মাই বডি মাই চয়েস’ এবং ‘সে নো টু ইসলামোফোবিয়া’।
কেন এমন প্রতিবাদী পোস্টার, তা জানতে গিয়ে বেরিয়ে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের একটি ঘটনা। গত ২২ ডিসেম্বর স্নাতক তৃতীয় বর্ষের পঞ্চম সেমেস্টারের পরীক্ষা চলাকালীন অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগ ওঠে বেশ কিছু পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। সে সময়েই পরীক্ষাকক্ষে শুরু হয় তল্লাশি। দুই হিজাব পরিহিত ছাত্রীকে পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে কথা বলেন বিভাগীয় প্রধান শাশ্বতী হালদার। সেখানেই এক ছাত্রী নিজেই হিজাব খুলে দেখান তাঁর কানে কোনও যন্ত্র নেই। গোটা ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি ওই ছাত্রী। কিন্তু পরে একটি ই-মেল আসে ইংরেজি বিভাগে।
এর আগে ছাত্রী-শিক্ষক বৈঠকে দাবি ওঠে বিভাগীয় প্রধানকে পদ থেকে সরানোর। তার পরই গঠিত হয় তদন্ত কমিটি। এরই মধ্যে সোমবার সকালে আবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র সংগঠন উপাচার্যকে ই-মেল করে গোটা ঘটনায় পদক্ষেপের দাবি করে।