বর্তমান প্রযুক্তি নির্ভর দুনিয়ায় এখন আর্থিক লেনদেনও সহজ। পছন্দের কোনও জিনিস কেনা, ঋণ শোধ করা থেকে বিনিয়োগ— অনলাইনে সমস্ত কিছুই করা যাচ্ছে নিমেষের মধ্যে। কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সশরীরে যেতে হচ্ছে না। আর্থিক পরিষেবার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির এই ব্যবহারকেই ফিন্যান্সিয়াল টেকনোলজি বা আরও ছোট করে ফিনটেক বলা হয়।
কী পড়ানো হয় ফিনটেক কোর্সে?
পুরনো গতানুগতিক পদ্ধতির বদলে টাকা জমা দেওয়া, আর্থিক সঞ্চয়, বিনিয়োগ, ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে কী ভাবে প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো যায়— তা শেখানো হয় এই কোর্সে। বিভিন্ন ডিজিটাল টুল, সফটঅয়্যার, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা ব্লকচেন-এর মতো নয়া প্রযুক্তির ব্যবহার কী ভাবে কাজে লাগে, তা জানানো হয় পড়ুয়াদের।
পাঠ্যক্রমে কী থাকে?
ফিনটেক-এর পাঠ্যক্রমে ডিজিটাল পেমেন্টস, ওয়ালেটস, ব্লকচেন, ক্রিপ্টোকারেন্সি, এআই বা মেশিন লার্নিং ইন ফিন্যান্স, ইন্ডিয়ান ফিন্যানশিয়াল সিস্টেম, সাইবার সিকিউরিটি, ডিজিটাল লেন্ডিং অ্যান্ড ইনশিয়োরেন্স, ডেটা স্ট্র্যাটেজি ইন ফিন্যান্স-এর মতো নানা বিষয় থাকে।
কোন কোন কোর্স পড়ানো হয়?
দেশের বেশ কিছু উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিবিএ (ব্যাচেলর্স অফ বিজ়নেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) ইন ফিনটেক, বিকম উইথ ফিনটেক স্পেশ্যালাইজ়েশন, বিএসসি ইন ফিনটেক পড়ানো হয়।
স্নাতকের পর স্নাতকোত্তরেও একাধিক কোর্স পড়ানো হয় ফিনটেক নিয়ে। এর মধ্যে যেমন এমবিএ কোর্স রয়েছে, তেমনি রয়েছে পিজি ডিপ্লোমা বা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট সার্টিফিকেট কোর্স।
কোথায় পড়ানো হয়?
দেশের অধিকাংশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে স্নাতক স্তরের কোর্স পড়ানো হয়। কিন্তু স্নাতকোত্তরের কোর্সগুলি আইআইএম, আইআইটি-র মতো প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ানো হয়। এ ছাড়া বেশ কিছু সরকারি বা সরকার স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানেও পড়ানো হয় স্নাতকোত্তরের ফিনটেক কোর্স। এ ছাড়া অনলাইনেও পড়ানো হয় কিছু কোর্স।
উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান—
১। আইআইএম কলকাতা।
২। আইআইএম সম্বলপুর।
৩। আইআইএম লখনউ।
৪। আইআইটি দিল্লি।
৫। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অফ সিকিউরিটিজ় মার্কেটস।
আরও পড়ুন:
খরচ কত?
সংশ্লিষ্ট কোর্সটি যদি অনলাইনে করা হয়, তা হলে খরচ কিছুটা কম হতে পারে। বাকি ক্ষেত্রে কোর্সের উপর ভিত্তি করে খরচের পরিমাণ ১ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ১০ লক্ষ টাকার বেশি হতে পারে।
চাকরির সুযোগ কেমন?
ফিনটেক কোর্স করে পড়ুয়ারা ব্যাঙ্ক, বিভিন্ন ফিনটেক স্টার্ট আপ, নন ব্যাঙ্কিং ফিন্যান্সিয়াল সংস্থা বা কনসাল্টিং ফার্মে চাকরি করতে পারেন। সুযোগ মেলে ফিনটেক অ্যানালিস্ট, ডিজিটাল পেমেন্ট স্পেশ্যালিস্ট, ব্লকচেন ডেভেলপার, ফিন্যান্সিয়াল ডেটা অ্যানালিস্ট-সহ নানা পদে কাজ করার।