মাধ্যমিক পরীক্ষায় শিক্ষকদের প্রয়োজন। এই মর্মে জেলাশাসকদের চিঠি দিয়ে অনুরোধ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। রাজ্যে জুড়ে চলছে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়া (এসআরআর)। এখানে যে সমস্ত ভোটারের তালিকায় নাম ওঠেনি, তাঁদের ডেকে শুনানি পর্ব চলবে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই শুনানিতে যুক্ত থাকতে হবে বিএলও-র কাজে নিযুক্ত শিক্ষকদের।ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত জেলাশাসকেরা এসআইআর চলাকালীন বিএলও হিসাবে নিযুক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক, সহকারী, পার্শ্ব শিক্ষক এবং অন্যান্য অফিসারদের পূর্ণ সময় কাজের নির্দেশ দিয়েছেন। আর এর ফলেই দুশ্চিন্তায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের।
২০২৬ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ২ ফেব্রুয়ারি, চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আর মাধ্যমিক পরীক্ষা পরিচালনার জন্য বিএলও-র কাজে নিযুক্ত শিক্ষকদের প্রয়োজন পর্ষদের।তাই এই শুনানি পর্ব চলাকালীন মাধ্যমিক পরীক্ষা যেন শিক্ষকদের অভাবে কোনও রকম ভাবে ব্যাহত না হয়, সে কারণে শুনানি পর্বকে সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে জেলাশাসকদের অনুরোধ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।বুধবার বিকেলে এই মর্মে প্রত্যেকটি জেলার জেলাশাসকে চিঠি দিয়ে পর্ষদ জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতেই রাজ্য জুড়ে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। ২৬৮২টি পরীক্ষাকেন্দ্রে এই পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষার হলে গার্ড দেওয়ার জন্য এক লক্ষেরও বেশি শিক্ষকের প্রয়োজন। রেজিস্টার্ড পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১০ লক্ষ ৭৯ হাজার ৮৯৭ জন। পরীক্ষক রয়েছেন প্রায় ৫৫ হাজার।
আরও পড়ুন:
এই চিঠিতে পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছেন, "শুনানি পর্বকে পরিকল্পনা মতো এমন ভাবে ভাগ করা হোক, যা মাধ্যমিক পরীক্ষায় কোনও বাধা সৃষ্টি না করে।"শুধু মাধ্যমিক নয় একই সমস্যায় উচ্চ মাধ্যমিকও। ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা, যা শেষ হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি। একাদশের দ্বিতীয় সিমেস্টারে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা সাড়ে ৬ লক্ষ। আর উচ্চমাধ্যমিকের চতুর্থ সিমেস্টারে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৬ লক্ষ।