Advertisement
E-Paper

পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিকের অন্তর্ভুক্ত করার ভাবনা শিক্ষা দফতরের! বাড়তে পারে শূন্যপদের সংখ্যা

সম্প্রতি, ১৩,৪২১টি শূন্য পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ‌এর মধ্যেই আর‌ও ২,৩৩৮টি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিকে অন্তর্ভুক্ত করার ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে সরকার।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:২২
প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

২০২৫ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে শূন্য পদ বাড়ানোর দাবিতে থালা হাতে ফের রাজপথে ২০২২ সালে টেট পাশ চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল। অন্য দিকে পঞ্চম শ্রেণিকে ফের প্রাথমিকের অন্তর্ভুক্ত করে শূন্যপদ বাড়ানোর ভাবনাচিন্তা শিক্ষা দফতরের।

সম্প্রতি, ১৩,৪২১টি শূন্য পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ‌এর মধ্যেই আর‌ও ২,৩৩৮টি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিকে অন্তর্ভুক্ত করার ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে সরকার। ইতিমধ্যে স্কুলগুলির তরফে চূড়ান্ত ছাড়পত্রের আবেদন জানিয়েছে শিক্ষা দফতরের কাছে। ছাড়পত্র পেলে এই স্কুলগুলি চলে সম্পূর্ণ রূপে প্রাথমিকের অধীনে চলে আসবে।

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রের খবর, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় যেখানে পঞ্চম শ্রেণিতে শিক্ষক কম এবং ছাত্র সংখ্যা ২০০ বা তার বেশি, সেই সব স্কুলগুলিকে প্রাথমিকের অধীনে নিয়ে আসা হচ্ছে। এর ফলে প্রাথমিকের শূন্য পদের সংখ্যাও কিছুটা বাড়বে। প্রাথমিকের এক কর্তা বলেন, “পঞ্চম শ্রেণির এই স্কুলগুলি প্রাথমিকের অধীনে এলে প্রায় ১০০০ থেকে ১২০০ মতো শূন্যপদ বৃদ্ধির সম্ভাবনা।”

শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী পঞ্চম শ্রেণিটি প্রাথমিক স্তরেই থাকারই কথা। কিন্তু এ রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থায় পঞ্চম শ্রেণি ছিল মাধ্যমিক স্কুলে। পরবর্তী কালে উচ্চ প্রাথমিক আলাদা করে হলে তা তার অধীনে চলে আসে। ২০১৯ সাল থেকে ধাপে ধাপে পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিকের আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হয় শিক্ষা দফতরের তরফে।

শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছিল কোনও স্কুলে ছ’টি শ্রেণি কক্ষ থাকলেই সেখানে পঞ্চম শ্রেণি পঠনপাঠন চালু করা যাবে। সেই নিয়মকে শিথিল করা হয়েছে। এখন থেকে পাঁচটি শ্রেণিকক্ষ থাকলে পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিকের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে। ২০২০ সাল পর্যন্ত ১৭,৯৯৬টি প্রাথমিক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি অন্তর্ভুক্ত ছিল। ২০২৫ সালে ২৩৩৫টি প্রাথমিক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। ফের অনুমোদনের জন্য ২৩৩৮টি স্কুলে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

সোমবার শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত ২০২২-এ প্রাথমিক টেট পাশ ডিএলএড ঐক্যমঞ্চের চাকরিপ্রার্থীরা শূন্যপদ বাড়ার দাবিতে মিছিল করেন। টেট পাশ করেও এখনও চাকরি পাননি বিদেশ গাজী। তিনি বলেন, “২০১৮ থেকে নতুন চাকরিপ্রার্থীরা কোন‌ও সুযোগ পাননি। এত বছর পর চাকরি সুযোগ হলেও প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। তার কারণ ২০২২-২০২৩ টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা এখানে যোগ দিচ্ছেন। সেখানে শূন্যপদ মাত্র দু’হাজার। অবিলম্বে আর‌ও ১০ হাজার শূন্যপদ বাড়ানোর দাবি করছি আমরা।”

WBBPE Recruitment
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy