পেরিয়ে গিয়েছে তিনটি বছর। এ বার নতুন করে ভাবতে হচ্ছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে। জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী ‘মেজর’ চতুর্থবর্ষে পড়ুয়ারা কী পড়বেন? স্থির হবে আগামী সপ্তাহে।
২০২২ থেকে শুরু হয়েছে বিএ, বিএসসি ‘মেজর’ বা চার বছরে অনার্স উইথ রিসার্চ কোর্স। ২০২৫ পর্যন্ত তিন বছরের পাঠ্যক্রমই পড়ছিলেন পডুয়ারা। আগামী জুনে তাঁদের তৃতীয় বর্ষের পঠনপাঠন শেষ হবে। এর পর চতুর্থ বর্ষে কী পড়বেন? এখনও স্থির করে উঠতে পারেনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। শীঘ্রই এ বিষয়ে বৈঠকে বসার কথা জানিয়েছেন উপাচার্য আশুতোষ ঘোষ।
আরও পড়ুন:
উপাচার্য বলেন, “আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানেই ‘মেজর’ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। পড়ুয়াদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সে দিকে নজর রাখা হবে।”
জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী শুধু স্নাতক ডিগ্রি যে চার বছরের হয়েছে তা নয়। পাশাপাশি স্নাতকোত্তরও কমে হয়ে গিয়েছে এক বছর। এ দিকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় পুরনো নিয়মে দু’বছরের স্নাতকোত্তর পঠনপাঠন চলছে। সে বিষয়েও কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসতে চলেছেন বলে জানা গিয়েছে। আলোচনা হবে পিএইচডি নিয়েও।
জানা গিয়েছে, ২০২২ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের নির্দেশিকা মেনে কিছু পদক্ষেপ করার কথা ছিল পিএইচডি-র ক্ষেত্রে। কিন্তু তা এত দিন করা যায়নি। এ বার সে বিষয়েও নড়ে বসেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। কারা পিএইচডি করতে পারবেন এবং কারা পারবেন না, কোন কলেজগুলি এই পিএইচডি করাতে পারবে— সে সব বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে বৈঠকে।
পাঠ্যক্রম প্রসঙ্গে নিউ আলিপুর কলেজের অধ্যক্ষ জয়দীপ সারঙ্গী বলেন, “জাতীয় শিক্ষানীতির অধীনে চার বছরের পঠনপাঠনের চতুর্থ বর্ষের ক্লাস কলেজগুলিতে শুরু হবে, আর ক’দিন বাদে। তার আগে নির্দিষ্ট পাঠ্যক্রম তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে রয়েছি আমরা।”