মেডিক্যালের স্নাতকে ভর্তির প্রবেশিকা (নিট ইউজি) এ বার আয়োজন করা হতে পারে কম্পিউটার নির্ভর বা সিবিটি মাধ্যমে। সর্বভারতীয় স্তরের অন্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মতো এই পরীক্ষাও সিবিটি মাধ্যমে আয়োজন করা যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকেরও।
গত বছরের জুন মাসের নিট ইউজি-র প্রশ্নফাঁসের ঘটনাকে ঘিরে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। উঠেছিল সম্পূর্ণ পরীক্ষা বাতিলের দাবি। একই সঙ্গে কিছু প্রশ্নের উত্তর নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। তবে সিবিআই তদন্তের পর পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখে দেশের শীর্ষ আদালত। ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি-র তরফে যাতে স্বচ্ছ এবং নিশ্ছিদ্র ভাবে পরীক্ষার আয়োজন করা হয়, তার জন্য গঠিত হয় একটি প্যানেলও। প্যানেলের তত্ত্বাবধানে ছিলেন ইসরোর মুখ্য অধিকর্তা আর রাধাকৃষ্ণন। তখন থেকেই পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তনের বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক।
আরও পড়ুন:
পিটিআই সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সিবিটি মাধ্যমে নিট ইউজি-র আয়োজন করা হলে পরীক্ষার্থীরা কতটা সুবিধা বা অসুবিধার সম্মুখীন হবেন। শহর ছাড়াও গ্রামাঞ্চলের বহু পড়ুয়া এই পরীক্ষা দিয়ে থাকেন। সে ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো অর্থা ইন্টারনেট ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ সরবরাহ, কম্পিউটার পরিচালনার দক্ষতা আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা জরুরি। যে হেতু প্রতি বছর দেশের প্রায় লক্ষাধিক পড়ুয়া এই পরীক্ষায় বসেন, তাই সিদ্ধান্ত তাঁদের জন্য কতটা লাভজনক হবে, তা-ও বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে। এ বিষয়ে এখনও তাই কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। আলোচনার স্তরেই রয়েছে সমস্ত বিষয়টি।
দেশের জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মধ্যে অন্যতম নিট ইউজি। চলতি বছরে এই পরীক্ষা দেন প্রায় ২২ লক্ষ পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা নেওয়া হয় 'পেন অ্যান্ড পেপার' বা লিখিত মাধ্যমে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের জন্য দেশের কলেজগুলিতে এমবিবিএস-এর আসনসংখ্যা ১ লক্ষ ৮ হাজার।