চিকিৎসকদের লেখা প্রেসক্রিপশন পড়ে কিছুই বোঝা যায় না— এই অভিযোগ বহুদিনের। এ বার দেশের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে পড়ুয়াদের প্রেসক্রিপশন লেখার অভ্যেস খতিয়ে দেখতে গঠন করতে হবে সাব কমিটি, নির্দেশ ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের (এনএমসি)-র। একই সঙ্গে মেডিক্যালের পাঠ্যক্রমেও নিখুঁত এবং পাঠযোগ্য প্রেসক্রিপশন লেখার উপরে জোর দেওয়া হবে।
ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের তরফে দেশের বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মেডিক্যাল কলেজের ডিরেক্টর এবং ডিনদের এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে। এনএমসি-র নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজের ড্রাগস অ্যান্ড থেরাপিউটিক্স কমিটি (ডিটিসি)-র অধীনে একটি সাব কমিটি গঠন করতে হবে। যে কমিটি প্রেসক্রিপশন লেখার অনুশীলনকে সঠিক ভাবে মেনে চলা হচ্ছে কিনা, তা মূল্যায়ন এবং তত্ত্বাবধান করবে। প্রেসক্রিপশন লেখার ক্ষেত্রে কোনও নিয়ম ভাঙা হচ্ছে কিনা বা বিচ্যুতি ঘটছে কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখার দায়িত্ব তাঁদের। ডিটিসি-র মিটিংগুলিতেও আলোচনা করা হবে এই বিষয়ে, যার কার্যবিবরণী জানানো হবে এনএমসি-কে।
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, গত অগস্ট মাসে পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্টের নির্দেশের উপর ভিত্তি করেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে এনএমসি। কোর্টের পর্যবেক্ষণে জানানো হয়েছিল, ভারতীয় সংবিধানের ২১ নম্বর ধারার স্বাস্থ্যের অধিকার আইন মেনে মেডিক্যাল প্রেসক্রিপশন স্পষ্ট এবং সহজবোধ্য হওয়া উচিত। এমনকি, ২০১৯-এর জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন আইনবিধি, ২০২২-এর ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিলের একটি ধারা এবং ২০২৬-এর মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার বিজ্ঞপ্তিতেও একই বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছিল।