আমেরিকা, চিন, ব্রিটেনের পরই রয়েছে ভারত, কিন্তু সমাজ এবং পরিবেশ সচেতনতার নিরিখে এখনও পিছিয়ে দেশ! তেমন ইঙ্গিতই মিলল সম্প্রতি প্রকাশিত ‘কিউএস গ্লোবাল সাস্টেনেবলিটি র্যাঙ্কিং ২০২৬’-এ। বিশ্ব তালিকার প্রথম ২০০-র তালিকায় ঠাঁই পেল না দেশের কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
আন্তর্জাতিক স্তরের এই র্যাঙ্কিংয়ে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান বিচার করা হয় সুস্থায়ী পরিকাঠামোর ভিত্তিতে। চলতি বছর বিশ্বের ৭০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নানা মাপকে বিচার করে র্যাঙ্ক দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ভারতের ১০৩টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গত বছর ছিল ৭৮টি প্রতিষ্ঠান। সেই বিচারে ২০২৬-এর র্যাঙ্কিং তালিকায় ভাল ফল হয়েছে বলা যায়। কিন্তু গত বছর প্রথম ২০০-র মধ্যে ১৭৫ স্থানে ছিল ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি) দিল্লি। সার্বিক ফল ভাল হলেও আইআইটি দিল্লির স্থান এ বার নেমেছে ২০৫-এ।
আরও পড়ুন:
গত কয়েক দশকে জলবায়ু পরিবর্তন হয়ে উঠেছে বিশ্বের অন্যতম চিন্তার কারণ। এই বিশ্ব উষ্ণায়ন বা পরিবেশ রক্ষায় উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পঠনপাঠন, গবেষণা বা সমাজকল্যাণমূলক কাজ কী ভাবে পরিচালিত হয়, প্রশাসনিক পরিকাঠামো কেমন, পরিবেশ নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে প্রাক্তনীদের অবদান কতখানি— সে সবই খতিয়ে দেখা হয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থা কোয়াককারেরি সিমন্ডস (কিউএস) ২০২৬-এর ‘ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংস সাস্টেনেবলিটি’-এ।
এই বিচারে আইআইটি দিল্লির স্থান গত বছরের তুলনায় খানিকটা নীচে নেমেছে। এর পর রয়েছে আইআইটি বম্বে ২৩৫তম স্থানে এবং আইআইটি খড়্গপুর রয়েছে ২৩৬ তম স্থানে। এ ছাড়াও ১০০টি ভারতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থান পেয়েছে তালিকায়। যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক বলেই মনে করছেন কিউএস কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, বিশ্বের মাত্র চারটি দেশ থেকেই ১০০-র বেশি প্রতিষ্ঠান এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। সেই নিরিখে আমেরিকা, চিন, ব্রিটেনের পরেই রয়েছে ভারত।