Advertisement
E-Paper

একটি পড়ুয়াও নেই সাড়ে তিনশো স্কুলে! স্কুলবাড়ি নিয়ে চিন্তিত রাজ্য

সম্প্রতি স্কুল শিক্ষা দফতরের সমীক্ষায় গত পাঁচ বছরের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ২৩ জেলার প্রায় ৩৫০ স্কুলে নেই একটিও পড়ুয়া। অর্থাৎ ছাত্রছাত্রী শূন্য।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৫ ২২:৪০
প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

রাজ্যের বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলিতে ক্রমেই বাড়ছে ভর্তির চাহিদা। ফলে রাজ্য সরকার পোষিত এবং সরকার অনুমোদিত স্কুলগুলিতে কমছে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা। সম্প্রতি, স্কুল শিক্ষা দফতরের সমীক্ষায গত পাঁচ বছরের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের ২৩ জেলার প্রায় ৩৫০ স্কুলে নেই একটিও পড়ুয়া। অর্থাৎ ছাত্রছাত্রী সংখ্যা শূন্য।

কলকাতার পার্ক ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক সুপ্রিয় পাঁজা বলেন, ‘‘ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলির রমরমা এখন অনেক বেশি। বহু অভিভাবকও মনে করেন, ইংরেজি মাধ্যমে পড়লেই পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ অনেক সুনিশ্চিত হবে। বাংলা মাধ্যম স্কুলগুলিতেও ইংরেজি মাধ্যম চালুর উপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।’’

প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের স্কুলগুলি ছাত্রশূন্য হয়ে পড়ায় প্রশ্ন উঠছে শিক্ষক মহলে। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘সরকার ৩৪৮টি স্কুল তুলে দিয়ে সেই স্কুলগুলোর বিল্ডিং ও সম্পত্তি অন্য কাজে ব্যবহার করা যায় কিনা সেটা নিয়ে পদক্ষেপ করছে। কিন্তু, আমরা কোন‌ও স্কুল পুরোপুরি তুলে দেওয়ার পক্ষে নয়। অবিলম্বে সরকারের বিকল্প ব্যবস্থা করা উচিত।’’

শিক্ষকমহলের একাংশের বক্তব্য, এতদিন স্কুলগুলি ছাত্রশূন্য থাকা সত্ত্বেও সরকার কি কোনও বিকল্প ভাবনা ভেবেছিল? এই স্কুলগুলিকে বাঁচানোর জন্য সরকার আদৌ কি আগ্রহী? ২০২০ সাল থেকে এই সমস্ত স্কুলে একজন পড়ুয়াও ভর্তি হয়নি বলে রাজ্যের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। বিল্ডিংগুলি পড়ে থেকে অনেক জায়গায় ভগ্নদশা। রাজ্যের যে রিপোর্ট সামনে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ২৩ জেলার মধ্যে কলকাতায় ১১৯টি স্কুলে কোন‌ও ছাত্র নেই। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা ৬০টি স্কুল। এ ছাড়াও হাওড়ায় ২৪, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ১৭, পূর্ব বর্ধমানে ১৮, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১১, নদীয়ায় ১৩টি স্কুলে নেই একটি ছাত্রছাত্রীও। সব মিলিয়ে ২৩ জেলায় ৩৪৮ স্কুলে পড়ুয়া নেই।

নারায়ণ দাস বাঙ্গুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, যে স্কুলগুলি ব্যবহৃত হচ্ছে না সেগুলি শিক্ষার সংস্কৃতির কাজে ব্যবহার করা উচিত। ব্যবসায়িক কাজে নয়। আর যে সমস্ত স্কুল ইংরেজি মাধ্যম খুলতে চায়, বিল্ডিংয়ের অভাবে খুলতে পারছে না, তাদের পাশে সরকারের দাঁড়ানো উচিত। যদি ওই স্কুলের আশপাশে কোনও এই ধরনের বিল্ডিং থাকে।’’

wb school Admission Enrolment
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy