আসন্ন স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা (এসএসসি)-তে অভিজ্ঞতার জন্য ধার্য করা হয়েছে ১০ নম্বর। অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এই নম্বর দিতে হবে, স্কুল পরিচালন সমিতির দ্বারা নিযুক্ত আংশিক শিক্ষকদের দাবি। এই মর্মে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে স্মারকলিপি জমা দিল পার্ট টাইম টিচার সংগঠন।
শিক্ষকদের বক্তব্য, তাঁরা স্কুলের পরিচালন সমিতি নিযুক্ত উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক-শিক্ষিকা। তাঁদের পড়ানোর জন্য অনুমতি দিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এই রকম শুধু উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের আংশিক শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় ১০,০০০। উচ্চ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক মিলিয়ে সেই সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার মতো। এঁদের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পরীক্ষার খাতা দেখেন প্রায় ৭০০ মতো শিক্ষক-শিক্ষিকা। তা হলে তাঁরা কেন অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ১০ নম্বর পাবেন না।
আরও পড়ুন:
নর্থ বেঙ্গল পার্ট টাইম টিচার অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ আংশিক সময় শিক্ষকদের নাম, শিক্ষাগত যোগ্যতা, তাঁদের নিয়োগের নথি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের ওয়েবসাইটে রয়েছে। শুধু ক্লাস নেওয়া নয় গত ৫ থেকে ১০ বছর তাঁরা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার খাতাও দেখছেন অনেকে। কন্যাশ্রী থেকে সবুজ সাথী এমনকি স্কলারশিপ এর কাজও তাঁরা করে থাকেন। আর পাঁচটা সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মতো তাঁদের রোজ স্কুলেও যেতে হয়। অথচ তাঁদের বেতন সর্বোচ্চ চার হাজার টাকা।
আংশিক শিক্ষক সুশান্ত সরকার বলেন, ‘‘আমরা চাই না স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগে বাধা আসুক। সরকার আমাদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নম্বর দেওয়ার ব্যবস্থা করুক। না হলে আমরা আইনি পথে হাঁটতে বাধ্য হব। কমিশন, শিক্ষা সংসদ ও দফতর একে অপরের উপর দায়ভার চাপাচ্ছে। আমরা ন্যায্য অধিকারের দাবি জানাচ্ছি।’’
অবশ্য এ বিষয়ে পর্ষদ থেকে এসএসসি কেউই কোনও মন্তব্য করতে চাননি।