মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অধীন সমস্ত সরকারি, সরকার পোষিত ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে প্রার্থনা সঙ্গীত হিসেবে রাজ্য সংগীত গাওয়ার কথা শুক্রবার থেকেই। কিন্তু এই মুহূর্তে স্কুলগুলিতে চলছে, মাধ্যমিকের টেস্ট। প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত সামেটিভ পরীক্ষাও শুরু হচ্ছে কোনও কোনও স্কুলে। তাই বেশির ভাগ স্কুলেই এ দিন পালন করা যায়নি সরকারি নির্দেশিকা। গাওয়া যায়নি রাজ্যসঙ্গীত ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’।
দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর বিদ্যাপীঠে অবশ্য পালন করা হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশ। শুক্রবার প্রার্থনাসভায় গাওয়া হয়েছে রাজ্যসঙ্গীত। সেই সঙ্গে ‘বন্দে মাতরম্’-এর সার্ধ্বোশতবর্ষ পূর্তি উদ্যাপনও করা হয়। তাই এ দিন প্রার্থনাসভায় প্রথমে ‘বন্দে মাতরম্’ গাওয়া হয়। পরে রাজ্যসঙ্গীত ও জাতীয়সঙ্গীত গাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
স্কুলের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলেন, “বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নির্দেশ আসার পর আমাদের স্কুলের নিজস্ব ই-ডাইরি অ্যাপ-এ পড়ুয়াদের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়। পাঠিয়ে দেওয়া হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা গানটিও। প্রথম দিন সকলের হয়তো গানটি মুখস্ত হয়নি। আস্তে আস্তে তা হয়ে যাবে বলেই আমাদের আশা।”
হেয়ার স্কুলে অবশ্য শুক্রবার রাজ্যসঙ্গীত গাওয়া সম্ভব হয়নি। প্রধানশিক্ষক দেবাশিস মণ্ডল বলেন, “পরীক্ষা চলছে। তাই প্রার্থনাসভা আয়োজিত হয়নি। পরীক্ষা পর্ব মিটলেই বিষয়টি ছাত্রদের জানানো হবে। নিয়মিত পঠনপাঠন শুরু হলেই প্রার্থনাসভায় রাজ্যসঙ্গীত গাওয়া হবে।”
কিছু স্কুল আবার চাইছে নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রার্থনাসভায় রাজ্যসঙ্গীত গাওয়া হোক। এখনই তা শুরু হচ্ছে না। যেমন নারায়নদাস বাঙ্গুর স্কুল। প্রধানশিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া বলেন, “আমরা এখনই এই রাজ্যসঙ্গীত গাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করছি না। জানুয়ারি মাস থেকে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হলে আমরা প্রার্থনাসভায় রাজ্যসঙ্গীত গাওয়া শুরু করব।”
কোনও কোনও স্কুলে ছ’দিনে ছ’টি গান গাওয়া হয় প্রার্থনাসভায়। সঙ্গে থাকে জাতীয় সঙ্গীত। সে ক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।