দীর্ঘ ৮ বছর পর প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ হতে চলেছে রাজ্যে। মঙ্গলবার বিকেল থেকে আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ১৩,৪২১টি শূন্য পদের জন্য এই আবেদন নেওয়া হচ্ছে। জেলাভিত্তিক আবেদনের তালিকা হাতে আসতেই শূন্যপদ বাড়ানোর দাবিতে সরব টেট উত্তীর্ণেরা।
পর্ষদ এর আগেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিয়েছে, কোন জেলায় বিষয়ভিত্তিক কত শূন্যপদ রয়েছে। মোট শূন্যপদের ১০ শতাংশ সংরক্ষিত পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য।
আরও পড়ুন:
সূত্রের খবর, সারা রাজ্যে প্রায় ১১,৩৫৭ শূন্যপদ রয়েছে বাংলামাধ্যম প্রাথমিক স্কুলগুলির জন্য। বাকি হিন্দি ও উর্দুমাধ্যমের জন্য। পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য সংরক্ষিত আসন রয়েছে ১১,৩৪২। মোট আটটি বিষয়ে পড়ান হয় প্রাথমিকে।
২০২২ টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থী বিদেশ গাজি বলেন, “২০১৭ সালের পর থেকে রাজ্যে কোনও প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। এই অবস্থায় এত কম শূন্য পদে নিয়োগ করা হলে বহু যোগ্য প্রার্থী সুযোগ পাবেন না। তাই অবিলম্বে শূন্য পদ বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।”
অ্যাসিস্ট্যান্ট টিচার ও প্যারা টিচার মিলিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সব থেকে বেশি শূন্যপদ রয়েছে ১৪৭১টি, এর পর হুগলিতে ১২১২, বাঁকুড়ায় রয়েছে ৯৭৮টি। চতুর্থ স্থানে রয়েছে কলকাতা, সেখানে শূন্যপদ ৯৪৭।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর, পরীক্ষার ২১ মাস পর প্রকাশিত হয়েছে ২০২৩ সালে প্রাথমিকের টেটের ফল। তার আগে ২০২২ সালেরও ফলপ্রকাশ হয়েছে। পাশ করেছিলেন প্রায় ৫২হাজার পরীক্ষার্থী। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে থাকায় গত বুধবার ২০২২ সালে টেট উত্তীর্ণেরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। ঘেরাও করা হয় তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে।
২০২৩ টেট-এ উত্তীর্ণ হয়েছেন মাত্র ৬,৭৫৪ জন পরীক্ষার্থী। প্রথম ১০-এ রয়েছেন ৬৪ জন। এই পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিলেন ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৫৪ জন। পরীক্ষা দিয়েছিলেন ২ লক্ষ ৭৩ হাজার ১৪৭ জন। পাশের হার ২.৪ শতাংশ।