কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্যের সব কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিয়ন রুম তালাবন্ধ করে রাখা হয়েছে। বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ দিয়েছিল, জরুরি কোনও প্রয়োজন হলে রেজিস্ট্রারের কাছে আবেদন করতে হবে। নয়তো ইউনিয়ন রুম তালাবন্ধই থাকবে। হাই কোর্টে ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের কাছে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে তাদের অবস্থান জানতে চায়। এরই মধ্যে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে আইনজীবীদের নিয়ে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি)-র কাজ শুরু করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘আদালত জানতে চেয়েছিল ইউনিয়ন রুমগুলো কী ভাবে ব্যবহার করা হবে। এই নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে । আইনজীবীরা একটি এসওপি তৈরি করে শিক্ষা দফতরকে জমা দেবে।’’
এসওপি শিক্ষা দফতরের কাছে এলে তা আদালতে পাঠানো হবে। আদালত থেকে যদি ওই এসওপি গ্রাহ্য হয়, তা হলে সেই অনুযায়ী কাজ করা হবে বলে খবর শিক্ষা দফতর সূত্রে।
দীর্ঘ দিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। ছাত্র ভোট না হওয়ার ফলে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে বাড়ছে প্রাক্তনীদের দাদাগিরি। সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজ, হাওড়া নরসিংহ দত্ত কলেজ-সহ রাজ্যের বেশ কিছু কলেজে প্রাক্তনীদের দাপটের অভিযোগ উঠেছে একাধিকবার। কেন ইউনিয়ন রুম খোলা থাকবে, এই প্রশ্ন নিয়ে আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় জনস্বার্থ মামলাও করেন। সেই মামলার শুনানিতেই সম্প্রতি কলকাতা হাই কোর্ট কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিয়ন রুম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। এই মর্মে উচ্চশিক্ষা দফতরকে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে বলা হয়েছিল। ইউনিয়ন রুম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেও ছাত্র ভোট নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলেনি আদালত। মঙ্গলবার এ প্রসঙ্গে ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত আদালত ছাত্রভোট নিয়ে কোন নির্দেশ দেয়নি। আমরা ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। কোনও নির্দেশ এলে আমরা তা সরকারের কাছে পাঠাব অনুমতি পেলেই ভোট হবে।’’