Advertisement
০১ মে ২০২৪
Free Internet WB School

ইন্টারনেট পরিষেবায় স্কুলগুলির আর খরচ নেই

স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনার স্কুল এডুকেশন এর তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, আগামী তিন বছর তিন মাসের জন্য রাজ্যের উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের সমস্ত স্কুলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবার ব্যবস্থা করবে রাজ্য।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:৫৫
Share: Save:

স্কুলের ইন্টারনেট পরিষেবা সচল রাখতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। রাজ্যের প্রায় ১৪ হাজার স্কুলে বিনামূল্যে ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে চলেছে স্কুল শিক্ষা দফতর। বাংলার শিক্ষা পোর্টালের ব্যবহার ও সরকারি প্রকল্পগুলি থেকে ছাত্রছাত্রীরা যাতে দ্রুত সুবিধা পায় তাই এই উদ্যোগ স্কুল শিক্ষা দফতরের।

স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনার স্কুল এডুকেশন এর তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, আগামী তিন বছর তিন মাসের জন্য রাজ্যের উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের সমস্ত স্কুলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবার ব্যবস্থা করবে রাজ্য। রাজ্যের এই মুহূর্তে সরকার এবং সরকার পোষিত মিলিয়ে মোট স্কুলের সংখ্যা প্রায় ১৪,৫০০। এই সমস্ত স্কুলে উচ্চ ক্ষমতা সম্পূর্ণ ইন্টারনেট পরিষেবার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চলেছে সরকার। ইতিমধ্যেই সরকারি একটি সংস্থাকে দ্রুত এই পরিকল্পনা রূপায়ণের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।

হিরাপুর এমসিটি গার্লস হাই স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা নিবেদিতা আচার্য বলেন, “এটি একটি অত্যন্ত ভাল খবর, অতিরিক্ত পরিষেবার জন্য যে অর্থ খরচ হয় সেই টাকা আমরা পড়ুয়াদের কাছ থেকে নিতে পারি না। সে ক্ষেত্রে স্কুলের ব্যয় অনেকটাই বৃদ্ধি পায়। বিগত কয়েক বছর ধরে ধাপে ধাপে সমস্ত কিছুই অনলাইন ব্যবস্থাপনায় করেছে শিক্ষা দফতর, সেখানে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ইন্টারনেটের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে।”

বর্তমানে সমস্ত স্কুলগুলিকে যাবতীয় তথ্য আপলোড করতে হয় বাংলা শিক্ষা পোর্টালের মাধ্যমে। আর বহু সময় শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন স্কুলে ইন্টারনেট পরিষেবা ঠিকঠাক না থাকায় এই পোর্টালটি সঠিক সময় ব্যবহার করা যায় না। যার ফলে বহু সময় স্কুলগুলিকে অতিরিক্ত ফাইনও দিতে হয়েছে।

যোধপুর পার্ক বয়েজ হাই স্কুলের প্রধানশিক্ষক অমিত সেনমজুমদার বলেন, “ছাত্র সংখ্যার নিরিখে আমাদের মোট তিনটি ব্রডব্যান্ড কানেকশন লাগে। যেখানে মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করতে হয়। সরকার যদি এই পরিষেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করে দেয় তাহলে স্কুলের কাজ দ্রুত এগোবে। পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের সুবিধাগুলিও দ্রুত পাবে।”

অনলাইনের মাধ্যমে স্কুলে যাবতীয় তথ্য আপলোড প্রক্রিয়া বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই শুরু হয়েছে, তখন থেকেই বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনগুলি দাবি করে আসছে যে শহরতলী এবং গ্রামবাংলার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট পরিষেবার যথেষ্ট সমস্যা রয়েছে, সরকার এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক। কিন্তু এই হস্তক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে এত সময় লাগলো কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে শিক্ষক সংগঠনগুলি।

বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “দেরিতে হলেও এই ব্যবস্থাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। যখন স্কুলের সমস্ত কাজ অনলাইনেই হয় তখন সেই পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা সরকারের নেওয়া উচিত। তবে শুধু কেন উচ্চ প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত, প্রাথমিক স্কুলগুলোতেও অনলাইনের মাধ্যমে যাবতীয় পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ভাল হয়।”

তবে শিক্ষকমহলের একটা অংশের প্রশ্ন বিজ্ঞপ্তিতে তিন বছর তিন মাসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্তু তারপর এই পরিষেবার খরচ কারা চালাবে তা উল্লেখ করা নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

internet Schools
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE