সেমেস্টার পদ্ধতিতে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে ভোকেশন্যাল বিষয়গুলিকে ‘বেস্ট অফ ফাইভ’-এর মধ্যে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এত দিন পর্যন্ত পড়ুয়ারা এই বিষয় নিয়ে শুধু পড়তেই পারতেন, তবে নম্বর ‘বেস্ট অফ ফাইভ’-এর মধ্যে যুক্ত করা হত না। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অধীনে ভোকেশন্যাল বা বৃত্তিমূলক বিষয় পড়ানো হয় ১৬টি। কিন্তু দেখা যাচ্ছিল যে হেতু নম্বর যুক্ত হচ্ছে না তাই ভোকেশন্যাল বিষয়গুলির গুরুত্বও হারিয়ে যাচ্ছিল। তাই ঐচ্ছিক বিষয় হিসাবে ভোকেশন্যালকে পুনরায় ফিরিয়ে আনল শিক্ষা সংসদ।
২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে একাদশ শ্রেণিতে শুরু হয়েছে সেমেস্টার পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে পঠন পাঠন শুরুর সময় ঐচ্ছিক বিষয় হিসাবে ভোকেশন্যাল বিষয়ের গুরুত্ব হ্রাস করা হয়েছিল। পাশাপাশি নম্বর বিভাজনেও পরিবর্তন এনেছিল শিক্ষা সংসদ। ফের নয়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এখানেই পরিবর্তন আনছে সংসদ।
আরও পড়ুন:
উচ্চ শিক্ষা সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘যে সমস্ত পড়ুয়া ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছে সে পড়ুয়ারা ‘বেস্ট অফ ফাইভ’-এর মধ্যে ভোকেশন্যাল বিষয়কে নিয়ে পড়তে পারবে।”
সেমেস্টার পদ্ধতি চালু হওয়ার প্রথম পর্যায় ভোকেশন্যাল বিষয় নম্বর বিভাজন ছিল ৭০ ও ৩০। এর মধ্যে ৭০ নম্বর প্র্যাক্টিক্যাল এবং থিয়োরিতে থাকত ৩০ নম্বর। এই নম্বরের ভিত্তিতেই একাদশ ও দ্বাদশের ভোকেশন্যাল বিষয়ের পরীক্ষা হত। যেখানে ৩০ নম্বর প্রথম ও দ্বিতীয় সেমেস্টারে ভাগ করা হত আর দ্বিতীয় সেমস্টারে সম্পূর্ণ ৭০ নম্বরের হত প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে এই নম্বর বিভাজনেও পরিবর্তন আনা হয়। মোট ১০০ নম্বরকে ভাগ করে দেওয়া হয় দু’টি সেমেস্টারে। ২৫ নম্বর করে দু’টি সেমেস্টারে থিয়োরি থাকবে এবং ৫০ নম্বরের প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা দিতে হবে দ্বিতীয় সেমেস্টারে। তবে যে পড়ুয়ারা ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছে তাঁদের জন্যই প্রযোজ্য।
‘পশ্চিমবঙ্গ ন্যাশনাল স্কিলস কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক (এনএসকিউএফ) শিক্ষক পরিবার’-এর রাজ্য সম্পাদক শুভদীপ ভৌমিক বলেন ‘‘উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। কিন্তু সংসদকে নিশ্চিত করতে হবে যে সব বিদ্যালয়ে দু’টি করে বৃত্তিমূলক বিষয় চলছে সেই বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে যাতে যে কেউ দু’টির মধ্যে একটি বিষয়ে ভর্তি হতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।’’ পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন বিদ্যালয়গুলিতে শেখার প্রয়োজনীয় ল্যাবের সরঞ্জাম ও পড়ুয়াদের ল্যাব ব্যবহারের সুযোগ সুনিশ্চিত করা প্রয়োজন।