দাঁতের চিকিৎসক হতে চান? দ্বাদশ শ্রেণির পরে কী পড়তে হয়? কোথায় পড়া যায়? রইল খুঁটিনাটি

মানব শরীরের বিভিন্ন রোগব্যাধির জন্য আলাদা আলাদা চিকিৎসক রয়েছেন। তেমনই দাঁতের কোনও সমস্যা হলে ছুটতে হয় দাঁতের ডাক্তারের কাছে। তবে এই বিভাগে চিকিৎসক হওয়ার জন্য প্রয়োজন বিশেষ ডিগ্রির। এটি চিকিৎসাবিদ্যার একটি ভাগ হলেও এমবিবিএস নয়, দন্তচিকিৎসক হওয়ার জন্য চাই আলাদা ডিগ্রি। দাঁতের চিকিৎসক হওয়ার জন্য কী কী ডিগ্রি প্রয়োজন? কোন পথে এগোনো উচিত? রইল খুঁটিনাটি।

বিজ্ঞান বিষয়ে দ্বাদশ শ্রেণি পাশের পরে দাঁতের চিকিৎসক হওয়ার জন্য ব্যাচেলর অফ ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) পড়তে হয়। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিডিএস পড়ার জন্য প্রথমে ‘ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এনট্রান্স টেস্টে (নিট)’ উত্তীর্ণ হতে হয়। তার পরেই মেধার ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া যায়।

বিডিএস একটি ৫ বছরের স্নাতক কোর্স। এই ৫ বছরের মধ্যে ১ বছরের ইন্টার্নশিপ যুক্ত রয়েছে। বিডিএস কোর্সের মধ্যে দিয়েই দাঁতের চিকিৎসার প্রায় সমস্ত বিষয়ে পড়তে পারেন শিক্ষার্থীরা।

কোন কোন প্রতিষ্ঠানে পড়ানো হয় বিডিএস:

ডি আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল, কলকাতা।

বর্ধমান ডেন্টাল কলেজ, পূর্ব বর্ধমান।

নর্থ বেঙ্গল ডেন্টাল কলেজ, দার্জিলিং।

ফ্যাকাল্টি অফ ডেন্টাল সায়েন্সেস আইএমএস বিএইচইউ, বেনারস।

নায়ের হসপিটাল ডেন্টাল কলেজ, মুম্বই।

মওলানা আজাদ ইনস্টিটিউট অফ ডেন্টাল সায়েন্স।

এ ছাড়াও আরও অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেখানে বিডিএস কোর্স পড়ানো হয়।

চাকরির সুযোগ কোথায় কোথায়:

বিডিএস কোর্স সম্পূর্ণ হওয়ার পরে একজন দন্তচিকিৎসক হিসাবে বিভিন্ন সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ শুরু করতে পারেন। এ ছাড়াও আরও অনেক ডায়গনস্টিক কেন্দ্রেও কাজের সুযোগ থাকে। নিজস্ব চিকিৎসা কেন্দ্রও খোলা যেতে পারে।

এ ছাড়াও যদি কেউ বিডিএস কোর্সের পরে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করতে চান তা হলে, ৩ বছরের মাস্টার্স অফ ডেন্টাল সার্জারি কোর্স করার সুযোগ থাকে।