Advertisement
E-Paper

সকালে, নাকি দুপুরে! প্রাথমিকে ক্লাসের সময় নিয়ে বার বার বিজ্ঞপ্তি বদল! বিভ্রান্ত শিক্ষক-পড়ুয়ারা

বাম আমলে প্রতিটি জেলার ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিল (ডিপিসিসি) চেয়ারম্যানেরা জেলার আবহাওয়া বা সার্বিক পরিস্থিতির ভিত্তিতেই নিজে থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেন। বর্তমানে এ ক্ষেত্রে পর্ষদের নির্দিষ্ট কিছু নিয়মবিধি রয়েছে।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২৫ ১৭:১০
প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

এক মাস ছুটির পর সোমবার খুলেছে রাজ্যের সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলগুলি। কিন্তু রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের কিছু জেলায় তাপপ্রবাহের কারণে স্কুলের সময় পরিবর্তন করার নির্দেশিকা জারি করে ওই সব জেলার ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিল (ডিপিসিসি)।

অভিযোগ, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে না জানিয়েই জারি করা হয় এই নির্দেশিকা। মঙ্গলবার তাই পর্ষদের তরফে নতুন বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে সমস্ত সেগুলি। ক্লাসের সময় বদল সংক্রান্ত পুরনো বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করা হয়েছে সমস্ত জেলায়। কিন্তু ক্লাসের সময় বদল নিয়ে এক এক বার এক এক রকম নোটিসে বিভ্রান্ত পড়ুয়ারা।

সোমবার গ্রীষ্মাবকাশ শেষ হওয়ার পর বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিল (ডিপিসিসি)-এর তরফে জেলার সরকার এবং সরকার পোষিত স্কুলগুলিকে ক্লাসের সময় দুপুরের পরিবর্তে সকালে করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যুক্তি ছিল, জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের সুবিধার্থে সপ্তাহে পাঁচ দিন সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এবং শনিবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ক্লাস করানো হবে।

কিন্তু এই নির্দেশিকা জারির আগে পর্ষদের সঙ্গে কোনও পরামর্শ করা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। এমনকি এ বছর ৩০ এপ্রিল গরমের ছুটি পড়ার আগেও জেলায় জেলায় গরমের দাপটে স্কুলগুলিতে সকালে ক্লাস করানোর নির্দেশ দিয়েছিল সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির প্রাথমিক শিক্ষাসংসদ। তখনও নাকি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। শেষ পর্যন্ত, মঙ্গলবার রাতে পর্ষদের বিজ্ঞপ্তির পর ক্লাসের সময় অপরিবর্তিত রাখার নির্দেশ মেনে নিয়েছে সমস্ত জেলা। প্রকাশিত হয়েছে নতুন বিজ্ঞপ্তি।

একের পর এক বিজ্ঞপ্তিতে এক এক রকম নির্দেশিকায় বিভ্রান্ত শিক্ষক থেকে পড়ুয়ারা। প্রশ্ন উঠছে কেন এত অস্বচ্ছতা?

বাম আমলে, প্রতিটি জেলার ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিল (ডিপিসিসি)-এর চেয়ারম্যানেরা সেই জেলার আবহাওয়া বা সার্বিক পরিস্থিতি বিচার করে স্বাধীন ভাবে স্কুল পরিচালন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতেন। এখন আর তেমন হয় না। জেলায় মাত্রাতিরিক্ত গরম বা অন্য কোনও সমস্যা তৈরি হলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে জানাতে হয়। তার পর পর্ষদ এই বিষয় প্রস্তাব পাঠায় বিদ্যালয় শিক্ষা দফতরকে। বিদ্যালয় শিক্ষা দফতর তা বিবেচনা করে এবং মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ অনুসারে পর্ষদকে মতামত জানায়। এর পর পর্ষদ তা জেলাগুলিকে জানায়।

এ দিকে, মঙ্গলবার জেলার ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিল (ডিপিসিসি)-এর নির্দেশিকা জারি হয়ে যাওয়ায় বুধবার পশ্চিমের বিভিন্ন জেলায় স্কুল হয়েছে সকালে। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, “আমরা চাই, গোটা রাজ্যে যথাযথ নিয়মবিধি মেনে এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হোক। এ জন্য পর্ষদ এবং জেলার ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিল (ডিপিসিসি)-গুলির মধ্যে সমন্বয় রেখে একসঙ্গে কাজ করা জরুরি।”

WB Schools Summer Vacation 2025 summer vacation in schools summer vacation in WB schools Department of School Education
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy