মাধ্যমিকের পুনর্মূল্যায়ন (স্ক্রুটিনি ও রিভিউ)-এর ফলাফলে ব্যাপক পরিবর্তন। র্যাঙ্ক বদল হল কৃতীদের। মেধাতালিকার চতুর্থ স্থানে থাকা পূর্ব মেদিনীপুরের সুপ্রতীক মান্নার নম্বর বৃদ্ধি পাওয়ায়, সে দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে। এর আগে মেধাতালিকায় ৬৬ জন পরীক্ষার্থী ছিল। পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, মাধ্যমিকের নম্বর যাচাই (স্ক্রুটিনি) এবং খাতা পুনর্মূল্যায়ন (রিভিউ)-এর ফল প্রকাশের পর ওই তালিকায় জায়গা পেয়েছে আরও ন’জন। ২ মে ফল প্রকাশের ৪৮ দিনের মাথায় মাধ্যমিকের নম্বর যাচাই (স্ক্রুটিনি) এবং খাতা পুনর্মূল্যায়ন (রিভিউ)-এর ফল প্রকাশিত হল।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘‘আজ পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে ২০২৫-এর মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের প্রেক্ষিতে পোস্ট পাবলিকেশন স্ক্রুটিনি এবং রিভিউ রেজ়াল্ট প্রকাশিত হয়েছে। এক থেকে দশ শীর্ষ স্থানাধিকারীর সংখ্যা ৬৬ থেকে পরিবর্তিত হয়ে ৭৫ হয়েছে।’’
র্যাঙ্ক বদল হল কাদের?
- অষ্টম স্থান থেকে সপ্তম স্থানে মালদহের সৃজন প্রামাণিক এবং বাঁকুড়ার সৌপ্তিক মুখোপাধ্যায় জায়গা করে নিয়েছে।
- বীরভূমের সম্যক লাহার নম্বর বৃদ্ধি পাওয়ায় সে দশম স্থান থেকে নবম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে।
- এ ছাড়াও নম্বর বৃদ্ধি পেয়েছে দেবজিৎ লাহা, অন্তরীপ মাইতি, চয়ন রায়, সম্যক দাস, রূপম দীক্ষিত, অনন্যা মজুমদার, প্রজ্ঞান দেবনাথ, সায়নদীপ ঘোষ, সোহম করণ এবং প্রেরণা বৈদ্যের। এর ফলে মাধ্যমিকের মেধাতালিকার অষ্টম, নবম এবং দশম স্থানে কৃতীদের নাম সংযুক্ত হয়েছে।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২০২৪-এর তুলনায় চলতি বছর মাধ্যমিকের নম্বর যাচাই এবং খাতা পুনর্মূল্যায়নের জন্য ৫৬ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছিল। তার মধ্যে ৪৫ হাজার ৭১৮ জন পিপিএস এবং ৩ হাজার ৬৯৯ জন পিপিআরের আবেদন পাঠিয়েছিল। পিপিএস-এর খাতার সংখ্যা ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ০৭৩টি এবং পিপিআর-এর খাতার সংখ্যা ১৪ হাজার ৫৩৮টি। পিপিএস-এর ফলে নম্বর বদল হয়েছে ১০ হাজার ০৬০ জনের এবং পিপিআর-এর ফলাফলে নম্বর বদলেছে এক হাজার ১৮২ জনের।
২০২৫-এ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ন’লক্ষ ৬৯ হাজার ৪২৫ জন। এর মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার্থী ন’লক্ষ ১৩ হাজার ৮৮৩ জন। পাশের হার ৮৬.৫৬ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় বেশি।
পোস্ট পাবলিকেশন স্ক্রুটিনি (পিপিএস) ও পোস্ট পাবলিকেশন রিভিউ (পিপিআর)-এর ফলাফল পড়ুয়ারা পর্ষদের ওয়েবসাইটে (result.wbbsedata.com) গিয়ে দেখতে পারবেন। বুধবার সকাল ৯টা থেকে পিপিএস, পিপিআর-এর ফল দেখা যাচ্ছে। এর জন্য পড়ুয়াদের রোল নম্বর এবং জন্ম তারিখের তথ্য দিতে হবে।
প্রতিটি স্কুল ওই লিঙ্ক থেকে পড়ুয়াদের সম্মিলিত পিপিএস, পিপিআর-এর ফল পিডিএফ ফাইল মারফত ডাউনলোড করতে পারবে। তবে সে ক্ষেত্রে স্কুলগুলিকে তাদের ‘লগ ইন আইডি’ ব্যবহার করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রতিটি স্কুলকে সংশ্লিষ্ট স্কুলের যে সমস্ত পড়ুয়ার নম্বর পরিবর্তন হবে, তাদের পুরনো মার্কশিট ও সার্টিফিকেট জমা দিয়ে সংশোধিত মার্কশিট ও সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে। পিপিএস, পিপিআর-এর ফল প্রকাশের সাত দিনের মধ্যে স্কুলগুলিকে নির্ধারিত আঞ্চলিক দফতরে জমা দিয়ে নতুন মার্কশিট ও সার্টিফিকেট নিতে হবে।