রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের পাঠদানের মানোন্নয়ন ঘটাতে তৎপর উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। নতুন পাঠ্যক্রমের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাঠদানের কৌশল শেখানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
সম্প্রতি সংস্কৃতের পাঠ্যক্রমে বেশ কিছু রদবদল করেছে শিক্ষা সংসদ। তারই বিষয়বস্তু শিক্ষকদের বুঝিয়ে দিতে ওরিয়েন্টশন ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়েছে। উল্লেখ্য, এই বিষয়টিতে শিক্ষাদান করে থাকেন ৪,২০০-এর বেশি শিক্ষক। তাঁদের জন্য এই বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
এই প্রশিক্ষণ দেবেন চারজন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এবং একজন শিক্ষক। এ ছাড়াও চলতি শিক্ষাবর্ষে চালু হওয়া আরও নতুন কিছু বিষয় নিয়েও বিষয়ভিত্তিক ট্রেনিং চলছে। এই বিশেষ কর্মসূচি ১১ জুন থেকে শুরু হয়েছে, চলবে ২৪ জুন পর্যন্ত।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সচিব প্রিয়দর্শনী মল্লিক বলেন, “আমরা এক দিকে যেমন ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বেশ কিছু নতুন বিষয় পাঠদানে যুক্ত করেছি। পাশাপাশি বহু বিষয় সিলেবাস ও পরিবর্তন করেছি। শিক্ষকরা যাতে বিষয়গুলি সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল হয় তাই আমরা ওরিয়েন্টেশন ও বিষয়ভিত্তিক ট্রেনিং দিচ্ছি।”
আরও পড়ুন:
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে পাঁচটি নতুন বিষয় পড়ানো হবে। এই পাঁচটি বিষয় হল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ডেটা সায়েন্স, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, ফিশারিজ় অ্যান্ড অ্যাকোয়াকালচার, বিজ়নেস ম্যাথমেটিক্স অ্যান্ড বেসিক স্ট্যাটিস্টিক্স এবং বেসিক ম্যাথমেটিক্স ফর সোশ্যাল সায়েন্সেস।
এ বার এই নতুন বিষয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। বিভিন্ন জেলার শিক্ষকদের কলকাতায় থাকারও ব্যবস্থা করা হয়েছে শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে। ১১ থেকে ১৪ই জুন পর্যন্ত ‘ফিশারিজ় অ্যান্ড অ্যাকোয়াকালচার’-এর প্রশিক্ষণ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ১৬ থেকে ১৮ তারিখ পর্যন্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ‘সায়েন্স অফ ওয়েলবিয়িং’-এর। ১৯ থেকে ২১ পর্যন্ত ‘এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স’-এর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ২৩ ও ২৪ শে জুন দু’দিন বিজ়নেস ম্যাথমেটিক্স অ্যান্ড বেসিক স্ট্যাটিস্টিক্স এবং বেসিক ম্যাথমেটিক্স ফর সোশ্যাল সায়েন্সের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এই প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা করা হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অফিসে। যেখানে প্রত্যেকটি বিষয়ের জন্য ২০০ জন শিক্ষককে নিয়ে একটি ব্যাচ তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষা সংসদের মূল উদ্দেশ্য এই পরিবর্তিত পাঠ্যক্রম এবং মূল্যায়ন ব্যবস্থায় শিক্ষক ও পড়ুয়াদের কারও কোনও অসুবিধা না হয়।