তৃতীয় দিনে পড়ল স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী নিয়োগের আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া। ১৮ জুন দুপুর পর্যন্ত আবেদনপত্র জমা পড়েছে প্রায় ১৬ হাজার। এ দিকে আজ ফের বিকাশভবনের সামনে ‘যোগ্য’ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বিক্ষোভ হয়। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর মন্তব্যের প্রতিবাদে চাকরিহারারা বিজ্ঞপ্তি পোড়ান।
‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা ঐক্য মঞ্চ’-এর চাকরিহারা শিক্ষক মেহবুব মণ্ডল বলেন, ‘‘শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন প্রত্যেক শিক্ষক শিক্ষিকা পরীক্ষা দিতে চান। কিন্তু সেটা ঠিক নয়।’’ ‘যোগ্য’ চাকরিহারারা আরও জানিয়েছেন, বিকাশ ভবন প্রথম দিন চিঠি জমা নেয় শুধু। তারপর দ্বিতীয় দিন থেকে জমা নেওয়া বন্ধ করে দেয়। বুধবার ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের একটি অংশ বিকাশভবনের সামনে উপস্থিত হন। এবং সেখানে প্রায় চার হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকারা একক চিঠি ব্যাগে করে নিয়ে যান। তাঁদের দাবি এই চিঠি জমা নিয়ে হবে। তাঁদের অভিযোগ, চিঠি নিয়ে বিকাশভবনের সামনে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। যদিও সেখানে বিক্ষোভ করার পর, পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে সোমবার থেকে ফের চিঠি জমা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন:
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সম্প্রতি বলেছিলেন, ‘‘আবেদন শুরু হয়েছে। আমার কাছে যা খবর তাতে জানা গিয়েছে প্রচুর আবেদন জমা পড়েছে ইতিমধ্যে। যাঁরা পরীক্ষা দিতে চান না তাঁরা নিশ্চয়ই এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে কথা বলবেন। আমরা এই পরীক্ষা নিচ্ছি সম্পূর্ণ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। আমি তাঁদের কাছে আবেদন করতে পারি এই ধরনের কোনও হঠকারী জায়গায় না গিয়ে, সুপ্রিম কোর্টের আবেদনে সাড়া দিতে। রাজ্য সরকার ও এসএসসি আপনাদের সবরকম ভাবে সাহায্য করবে।’’ এই বার্তাকে অগ্রাহ্য করেন চাকরিহারাদের একাংশ। বুধাবার পাল্টা কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন তাঁরা। সেই কর্মসূচিতেই বিজ্ঞপ্তি পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। মেহবুব বলেন, ‘‘আমরা আজকে বিজ্ঞপ্তি পুড়িয়ে প্রতিবাদ করেছি । তার কারণ আমরা এই নোটিফিকেশন মানছি না। সরকার রিভিউ পিটিশনের রায়ের আগেই পরীক্ষা নিয়ে রিভিউ পিটিশনটাকে দুর্বল করে দিতে চাইছে। সরকারি উদ্দেশ্য যারা ‘অযোগ্য’ তাঁদের সাহায্য করা।’’
অন্য দিকে, রাজ্যের নতুন ওবিসি বিজ্ঞপ্তির উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে। এর মধ্যেও আবেদন প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া নিয়ে আন্দোলনকারী মেহবুব বলেন, ‘‘ওবিসি মামলা নিয়ে কোর্টে স্থগিতাদেশ রয়েছে তাও কী ভাবে ফর্ম ফিলাপ করছে সরকার! আসলে সরকার পুরোপুরি ভাবে তাদের অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী মনোভাবকে সামনে রেখে কাজ করছে।’’