সারা রাজ্যে চলছে স্পেশ্যাল ইনটেনসিভ রিভিশনের কাজ। এর মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ঘোষণা করেছিল ১৭ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে জেলা স্তরে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হবে। কারণ ৪১তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজিত হবে ২১ ডিসেম্বর। ঘোষণার পরই তৈরি হয় বিতর্ক। অবশেষে বিজ্ঞপ্তি বাতিল করল পর্ষদ।
শনিবার নতুন করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্ষদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় আপাতত বাতিল হয়েছে ১৭ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বরের জেলাস্তর প্রতিযোগিতা। পরিবর্তিত সূচি শীঘ্রই জানানো হবে।
তবে ওই বিজ্ঞপ্তিতে ২১ ডিসেম্বরের ৪১তম বার্ষিক ক্রীড়ার সূচি বদলাবে কি না, তা জানানো হয়নি। আর এখানেই ধন্দে বিএলও-র দায়িত্বে থাকা শিক্ষকেরা। তাঁদের একাংশের দাবি, ঠিক কবে তাঁরা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব থেকে মুক্তি পাবেন, তা এখনও জানেন না। ফলে ৬ ডিসেম্বরের পরে প্রতিযোগিতার সূচি থাকলেও তাঁরা যথেষ্ট বিড়ম্বনায় পড়বেন।
বাঁকুড়া জেলার শিমুলকুন্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক সঞ্জয় বাউরি বলেন, "জেলা স্তরে প্রতিযোগিতা বাতিল হওয়ার ঘোষণা হয়েছে। আশা করছি মূল রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতাও ডিসেম্বরে আয়োজিত হবে না।"
গত, ৮ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল ১৭ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে জেলা ও অঞ্চল (সার্কল)স্তরে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হবে। অথচ, এই সময় বেশির ভাগ প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকেরাই এসআইআর-এর কাজে ব্যস্ত থাকবেন। শিক্ষকের অভাবে পঠনপাঠনই বন্ধ হতে বসেছে বহু স্কুলে, সেখানে ক্রী়ড়া প্রতিযোগিতার জন্য পড়ুয়াদের তৈরি করা প্রায় অসম্ভব, দাবি করেছিল স্কুলগুলির।