Advertisement
E-Paper

মঙ্গলে শুরু যাচাইকরণ, কী কী নিয়ে যেতে হবে প্রার্থীদের! তালিকায় নাম থাকা ‘অযোগ্য’দের কী হবে?

মঙ্গল থেকে শুরু একাদশ দ্বাদশের ভেরিফিকেশন, ইন্টারভিউ তালিকায় ‘দাগি’দের নাম নিয়ে বিতর্ক।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৫ ১৩:১০

— ফাইল চিত্র।

স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির নথিযাচাইকরণ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর থেকে। তার আগেই ইন্টারভিউয়ে ডাক পাওয়া প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ হয়েছে। অভিযোগ, সেখানে বেশ কিছু ‘অযোগ্য’ বা ‘দাগি’ প্রার্থীদের নামও রয়েছে।

শিক্ষা দফতরের আধিকারিকেরা আগেই জানিয়েছিলেন, কমিশনের তরফে আদালতে হলফনামা দিয়ে জানানো হয়েছে, পরীক্ষার পরেও যদি দেখা যায় কোন‌ও ‘দাগি’র নাম রয়ে গিয়েছে তা হলে তা নথি যাচাইকরণের সময় তা বাদ যাবে। সে জন্যই ইন্টারভিউয়ের আগে নথি যাচাই করা হবে বলে পর্ষদ কর্তাদের দাবি।

গত ৩০ অগস্ট স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে ‘অযোগ্য’ বা ‘দাগি’ শিক্ষকদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। প্রথমে ১৮০৪ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছিল। পরে আরও দু’জন ‘দাগি’র নাম প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। অর্থাৎ নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশে চাকরিহারা শিক্ষকদের মধ্যে মোট ১৮০৬ জনের ‘অযোগ্য’-এর নাম নথিবদ্ধ হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এঁরা কোন‌ও ভাবেই পরবর্তী পরীক্ষা ব্যবস্থায় যোগ দিতে পারবেন না।

এরই মধ্যে গত শনিবার একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগ পরীক্ষার ফলপ্রকাশ হয়েছে। সেখানেও বেশ কিছু ‘অযোগ্য’ প্রার্থীর নাম রয়েছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি আরও নানা ভুলভ্রান্তি রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ১৯৯৭ সালে জন্ম, এমন ব্যক্তির নামও রয়েছে ইন্টারভিউ তালিকায়। এত কম বয়সের কোনও প্রার্থী কী ভাবে অভিজ্ঞতার জন্য নম্বর পেতে পারেন তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। নীতিশরঞ্জন বর্মন নামে শিক্ষাবিজ্ঞানের শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছিল। পরবর্তীকালে ‘অযোগ্য’দের তালিকায় নাম ছিল তাঁর। সদ্য প্রকাশিত ইন্টারভিউ তালিকার ৯৫৮ নম্বরে তাঁর নাম উঠেছে। তবে তিনি একা নন। এমন অনেকেরই নাম রয়েছে তালিকায় যাঁরা ‘অযোগ্য’ হিসাবে চিহ্নিত।

এ প্রসঙ্গে শিক্ষা দফতর দাবি করেছে, নীতিশরঞ্জন বা তাঁর মতো তালিকায় নাম থাকা অন্য ‘অযোগ্য’ প্রার্থীদের নাম প্রসঙ্গে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।অন্য দিকে ১৮ নভেম্বর যাচাইকরণের জন্য প্রার্থীদের কোন কোন নথি নিয়ে যেতে হবে তা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানালো স্কুল সার্ভিস কমিশন—

১। অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম এবং ই-ইনফরমেশন শিট। যেখানে রোল নম্বর আইডি লেখা আছে তা সঙ্গে রাখতে হবে।

২। সচিত্র পরিচয়পত্র— আধার, প্যান, পাসপোর্ট এবং জাতিগত শংসাপত্র।

৩। বিশেষ ভাবে সক্ষম বা অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় কাগজ সঙ্গে রাখতে হবে এবং প্রত্যেকটি বৈধ কাগজের স্বাক্ষর তারিখ ২১ জুলাই ২০২৫-এর আগের হতে হবে।

৪। স্নাতকোত্তরের শংসাপত্র ও মার্কশিট অরিজিনাল রাখতে হবে প্রার্থীদের।

৫। টেট পাস সার্টিফিকেট এবং কোথা থেকে এই শিক্ষক শিক্ষণের যাবতীয় নথিও আনতে হবে সঙ্গে।

৬। শিক্ষকতার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকলে সে সব প্রতিষ্ঠানের তরফে দেওয়া চিঠি সঙ্গে রাখতে হবে।

৭। সমস্ত নথির আসল স্ব-প্রত্যয়িত প্রতিলিপিও সঙ্গে রাখতে হবে।

West Bengal Teacher Recruitment 2025 West Bengal School Service Commission
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy