অমৃতসরের হাসপাতালে আক্রান্তরা। ছবি: এএফপি।
সরকারি শিবিরে বন্ধ্যাকরণ করিয়ে দিন কয়েক আগে ছত্তীসগঢ়ে মৃত্যু হয়েছিল ১১ জন মহিলার। আর এ বার পঞ্জাবে ছানি অস্ত্রোপচার করাতে গিয়ে দৃষ্টিশক্তি হারাতে হল অন্তত ১৬ জনকে। এ ক্ষেত্রেও অভিযোগ সেই সরকারি শিবিরের দিকেই।
পঞ্জাবের গুরদাসপুর জেলায় ছানি অস্ত্রোপচারের জন্য শিবিরের আয়োজন করে সরকার অনুমোদিত একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। শিবিরে অস্ত্রোপচারের জন্য নথিবদ্ধ হন ৬০ জন। এঁদের মধ্যে ১৬ জন অমৃতসরের এবং বাকি ৪৪ জন গুরদাসপুর জেলার। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে অমৃতসর পুলিশের ডেপুটি কমিশনার রবি ভগত্ জানিয়েছেন, আক্রান্তদের মধ্যে ১৬ জন অমৃতসরের ইএনটি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। এঁদের প্রত্যেকেরই দৃষ্টিশক্তি একেবারে নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বাকি ৪৪ জনের স্বাস্থ্যের খবর নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রশাসন। ঘটনার তদন্তে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভগত্। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত চিকিত্সক বিবেক অরোরাকে। অভিযুক্ত সংস্থার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার হবে বলে জানিয়েছেন ভগত।
কিন্তু এমন ঘটনা ঘটল কী ভাবে?
অমৃতসরের চিকিত্সক রাজীব ভল্লা জানিয়েছেন, হাসপাতালে ভর্তি প্রত্যেকেরই দিন দশেক আগে ছানি অস্ত্রোপচার করা হয় গুরদাসপুরের ঘুমান গ্রামের এক শিবিরে। আক্রান্তদের মধ্যে ১৬ জন অমৃতসরের ডেপুটি কমিশনারের কাছে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং চিকিত্সকদের নামে লিখিত অভিযোগ করায় বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। প্রাথমিক তদন্তে এই দুর্ঘটনার জন্য শিবিরের চূড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশকেই দায়ী করা হয়েছে। ভল্লা আরও জানিয়েছেন, এই ধরনের শিবির আয়োজনের জন্য ন্যূনতম যে শর্তগুলি মানা উচিত, এ ক্ষেত্রে মানা হয়নি তার বেশির ভাগই। পরিকাঠামোর অভাবও ছিল যথেষ্ট।
সরকারি শিবিরে এই ধরনের দুর্ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। দিন কয়েক আগে ছত্তীসগঢ়ে বন্ধ্যকরণ শিবিরের স্মৃতি এখনও টাটকা। ২০১১ সালে ছত্তীসগঢ়েরই ব্যালডের একটি শিবিরে ছানি অস্ত্রোপচার করিয়ে ৪৪ জনই একটি করে চোখের দৃষ্টিশক্তি হারান। বছর দু’য়েক পরে এমনই এক শিবিরে অস্ত্রোপচার করিয়ে দৃষ্টিশক্তি হারান ৬২ জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy