খাগড়াগড়-কাণ্ডে ধৃত আমজাদ আলি শেখ বিস্ফোরকের জন্য ব্যবহৃত রাসায়নিক সরবরাহের পাশাপাশি জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ’-এর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখত বলে মঙ্গলবার আদালতে জানাল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। এনআইএ-র আরও অভিযোগ, আমজাদ ওরফে কাজল বাংলাদেশের ওই জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। এনআইএ সূত্রের খবর, কলকাতার শেক্সপিয়র সরণি থানা এলাকার একটি সংস্থার মহেশতলার কার্যালয়ে কাজ করত বীরভূমের কীর্ণাহারের বাসিন্দা আমজাদ। ওই সংস্থা বিভিন্ন রাসায়নিক কেনাবেচার কাজ করে। তাদের ‘ভ্যাট’ নম্বর ব্যবহার করে বড়বাজার এবং বাগুইআটির কয়েকটি দোকান থেকে বিস্ফোরক তৈরির রাসায়নিক কিনেছিল আমজাদ। টাকা মেটাতো ইন্টারনেটের অন-লাইন মাধ্যমে বিশেষ একটি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে।
এ দিন কলকাতার নগর দায়রা আদালতের মুখ্য বিচারক মহম্মদ মুমতাজ খানের সামনে ধৃত আমজাদকে হাজির করায় এনআইএ। তাদের আইনজীবী শ্যামল ঘোষ মুখ্য বিচারককে জানান, আমজাদকে ১৪ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করা প্রয়োজন। কারণ, কোন কোন দোকান থেকে সে বিস্ফোরক কিনত, কোন ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে বিস্ফোরক কেনার টাকা দিত, তার খোঁজ আমজাদই দিতে পারবে। বিচারক ধৃতকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত এনআইএ-র হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
এ দিন খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলার বিচার প্রক্রিয়া ‘ইন ক্যামেরা’ (গোপনে) করার জন্য আদালতে আবেদন জানায় এনআইএ। সূত্রের খবর, এই আদালতে এ আবেদনের শুনানি হবে আগামী ২০ নভেম্বর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy