২০১১-র পর আবার একতরফা দাপটে সেমিফাইনালে পৌঁছল লুই এনরিকের দল। কোয়ার্টার্সের অ্যাওয়ে ম্যাচে ৩-১ গোলে প্যারিস সাঁ জাঁকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অ্যাডভান্টেজেই ছিল বার্সা। এ বার ঘরের মাঠেও পিএসজিকে ২-০ গোলে অনায়াসে হারিয়ে লিগের সেমিফাইনালে পৌঁছল বার্সেলোনা। কোয়ার্টার্সের দু’টি ম্যাচ মিলিয়ে পিএসজির বিরুদ্ধে ৫-১ গোলে জয় পেল বার্সা। এর মধ্যে দু’টি গোল সুয়ারেজের এবং তিনটি নেমারের। নেমার তাঁর তিনটি গোলের দু’টি গোল করেন কোয়ার্টার্সের এই শেষ ম্যাচে। ম্যাচে এই মরসুমের তাঁর ৩০তম গোলটিও করেন ব্রাজিলীয় এই স্ট্রাইকার। ম্যাচের প্রথমার্ধেই দুর্দান্ত হেডে দ্বিতীয় গোলটিও করে ফেলেন তিনি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নক আউট পর্বের দু’টি ম্যাচে কোনও গোল না পেলেও বার্সার আরও এক তারকা স্ট্রাইকারকে কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না,—তিনি মেসি। আট গোল করে তিনি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। তবে দুরন্ত ছন্দে থাকা সুয়ারেজ এবং নেমার ফের গোলে ফেরার পর মেসির গোল করার আর বিশেষ প্রয়োজনও ছিল না হয়তো। গোটা ম্যাচের পরিসংখ্যান দেখলে বোঝা যাবে বলের দখল, মোট শট, গোলে শট, কর্নার— সবেতেই পিএসজির থেকে এগিয়ে ছিল বার্সেলোনা। এই মরসুমে শেষ ২৫ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতেই হেরেছে লুই এনরিকের দল। গোটা দলই যখন পুরনো চেনা ছন্দে এবং প্রায় অপ্রতিরুদ্ধ তখন দলের আক্রমণে মেসির থাকাটাই আক্রমণের ধার অনেকটা বাড়িয়ে দেয়।
এই ম্যাচে ইব্রাহিমোভিচ বা তার দল তেমন ভাবে কোনও পালটা আক্রমণ করতে পারেনি। পিএসজির রক্ষণ, আক্রমণ, পাসিং কোনওটাই তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি মেসিদের উপর।
ম্যাচের শেষে লুই এনরিকে বলেন, দলের আক্রমণের ক্ষমতা বেশ ভালো, তবে সেরা পারফর্ম্যান্সটা এখনও বাকি আছে। এই ম্যাচের নায়ক নেমারের কথায়, “আমরা দুর্দান্ত খেলেছি। আমাদের আরও ভাল খেলতে হবে, তবে আমি আমার দলের সতীর্থদের সাহায্য করতে পেরে খুশি।”