Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

হাতে বিজেপি-র পতাকা, বাবুলের কুশপুতুল-দলীয় কার্যালয় পোড়াল হকারেরা

বিজেপি-র পতাকা হাতে নিয়ে বিজেপি-রই কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দিলেন এক দল হকার। শুধু তাই নয়, পোড়ানো হল বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র কুশপুতুলও। বুধবার সকালে আসানসোলের এই ঘটনায় প্রকাশ্যে কিছু না বললেও যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছেন বিজেপি-র স্থানীয় নেতৃত্ব।

আসানসোলে বিজেপি-র সেই কার্যালয়।

আসানসোলে বিজেপি-র সেই কার্যালয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৫ ১৪:৩৫
Share: Save:

বিজেপি-র পতাকা হাতে নিয়ে বিজেপি-রই কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দিলেন এক দল হকার। শুধু তাই নয়, পোড়ানো হল বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র কুশপুতুলও। বুধবার সকালে আসানসোলের এই ঘটনায় প্রকাশ্যে কিছু না বললেও যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছেন বিজেপি-র স্থানীয় নেতৃত্ব।

বেশ কয়েক দিন ধরেই রেলের তরফে বিভিন্ন স্টেশনে হকার উচ্ছেদ কর্মসূচি চলছে। আসানসোল স্টেশনেও এর আগে কয়েক দফায় উচ্ছেদ হয়েছে। কিন্তু, কখনও কোনও অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়নি। এ দিন সকালে স্টেশনের সাত নম্বর প্ল্যাটফর্মে দেখা যায়, শ’খানেক হকার প্রতিবাদ মিছিল বের করেছেন। তাঁদের প্রত্যেকের হাতে বিজেপি-র পতাকা আর মুখে হকার উচ্ছেদবিরোধী স্লোগান। ধীরে ধীরে সেই মিছিল প্ল্যাটফর্ম এবং স্টেশন চত্বর ছেড়ে বেরিয়ে যায়। এর পর মিছিল এগিয়ে যায় আসানসোল বাজারের দিকে। সেখানে পৌঁছে বিজেপি-র একটি কার্যালয়ের সামনে থেমে যায় মিছিল। স্লোগান তখনও চলছে। এর পর আচমকাই বাবুলের কুশপুতুলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সেটি দাউ দাউ করে জ্বলছে যখন, তখন ওই দলীয় কার্যালয়েও আগুন ধরিয়ে দেন ওই হকারেরা। হাতে বিজেপি-র পতাকা থাকায় সকলেই তাঁদের দলীয় সমর্থক ভেবেছিলেন। কিন্তু, তাঁরাই যখন দলীয় কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেন প্রত্যক্ষদর্শীদের চোখ তখন কপালে।

কেন আগুন দিলেন তাঁরা দলীয় কার্যালয়ে?

ওই হকারদের দাবি, দিন চারেক আগে এলাকার সাংসদ এখানে এসেছিলেন। তখন হকার উচ্ছেদ নিয়ে বাবুলের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। কিন্তু, সাংসদ তাঁদের কথায় খুব একটা গুরুত্ব দেননি। তার জেরেই তাঁরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে ওই হকারদের অভিযোগ।

কিন্তু, বিজেপি-র বর্ধমান জেলা সভাপতি নির্মল কর্মকার জানান, এই অভিযোগ সত্যি নয়। তাঁর দাবি, ওই দিন বেশ কিছু হকার সাংসদের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের অভিযোগ এবং দাবিদাওয়ার কথা তাঁরা বাবুলকে জানান। তিনি সব শুনে টেলিফোনে দিল্লিতে সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেন। এমনকী, হকারদের পুনর্বাসন নিয়েও বাবুল কথা বলেন বলে দাবি নির্মলবাবুর। তবে এ দিনের ঘটনার সঙ্গে বিজেপি-র কোনও কর্মী-সমর্থক জড়িত নয় বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের দলে কোনও হকার নেই। কাজেই তাঁদের কোনও সংগঠনও নেই। বিজেপি-র পতাকা নিয়ে অন্য কেউ বা কারা এটা ঘটিয়েছে। এটা একটি রাজনৈতিক চক্রান্ত।’’ নাম না করে তিনি তৃণমূলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।

তৃণমূল যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বর্ধমানের তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, ‘‘আসানসোলে তৃণমূলের এমন অবস্থা হয়নি যে, বিজেপি-র দলীয় কার্যালয়ে আগুন দিতে হবে! ওরাই হতাশ হয়ে এমনটা করছে আর আমাদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে।’’

ছবি: শৈলেন সরকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE