হাসপাতালে জগদীশ মণ্ডল। ছবি অভিজিত্ সাহা।
ফের আক্রান্ত প্রতিবাদের মুখ! এ বার প্রতিবাদীর উপর হামলার ঘটনা ঘটল মালদহে। পরিবেশ দূষণের প্রতিবাদ করায় সোমবার রাতে আক্রান্ত হলেন জগদীশ মণ্ডল (৪৫) নামে এক ব্যক্তি এবং তাঁর দুই ছেলে। স্থানীয় সূত্রে খবর, পেশায় বাসচালক জগদীশবাবু বৈষ্ণবনগরের লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুনতোলা গ্রামের বাসিন্দা। বাড়ির পাশে ইটভাটা থেকে দূষিত হচ্ছিল পরিবেশ। প্রতিবাদ করায় তাঁর পরিবারের উপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল ইটভাটা মালিক ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় জগদীশবাবুকে। আহত হয়েছে তাঁর দুই ছেলে পঙ্কজ ও ছোটন। জগদীশবাবুর চিকিত্সা চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযুক্তদের ধরতে পারেনি পুলিশ।
ঠিক কী ঘটেছিল?
দিন পাঁচেক আগে জগদীশবাবুর বাড়ির পাশে একটি অস্থায়ী ইটভাটা গড়ে তোলেন পাশের গ্রামের ইট ব্যবসায়ী বিজয় মণ্ডল। এর আগেও ওখানে ইটভাটা ছিল তাঁর। সে বারও আপত্তি তুলেছিলেন জগদীশবাবু। কিন্তু সে আপত্তি টেকেনি। এ বারেও ইটভাটার ফলে দূষিত হচ্ছিল জগদীশবাবুর বাড়ির আশপাশের এলাকা। তাঁর অভিযোগ, ইটভাটার ছাই উড়ে এসে বাড়িতে পড়ছিল। এতে আপত্তি জানান তিনি। বিজয় মণ্ডলের কাছে ইটভাটা বন্ধের দাবি করেন তিনি। কিন্তু সে আপত্তিতে কান না দিয়ে ইটভাটার কাজ চালিয়ে যান বিজয়। ওই দিন দুপুরে ইটভাটা বন্ধের দাবিতে বিজয়ের সঙ্গে জগদীশবাবুর একপ্রস্থ বচসা হয়। কথা কাটাকাটি থামাতে ছুটে আসেন এলাকার বাসিন্দারা। সে সময় কোনও রকমে মিটমাট হয়ে যায়। কিন্তু রাতে ফের জগদীশবাবুর বাড়িতে বিজয় ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। হামলাকারীদের ধারাল অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হন তিনি। তাঁর মাথায়, গলায় ও হাতে গুরুতর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। আহত হয়েছে জগদীশবাবুর বড় ছেলে প্রথম বর্ষের ছাত্র পঙ্কজ এবং দশম শ্রেণির পড়ুয়া ছোট ছেলে ছোটন। তাদের বুকে-পিঠে আঘাত লেগেছে। প্রাথমিক চিকিত্সার পর তাদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। জগদীশবাবুকে গত রাতেই স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার পর তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে গোটা ঘটনা জানিয়ে বৈষ্ণবনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে জগদীশবাবুর পরিবার। থানার আইসি অসীম গোপ বলেন, “বিজয় মণ্ডল ও তার দলবলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy