পুড়ে গিয়েছে সমস্ত আসবাবপত্রও। ছবি: সুব্রত জানা।
মাঝে মধ্যেই সিলিন্ডার থেকে গ্যাস লিক করত। কিন্তু তাতে আমল দেননি হাওড়া বাগনানের পরিবারটি। রবিবার সকালে উনুন জ্বালতে গেলে তা থেকেই দুর্ঘটনা ঘটে। সিলিন্ডার থেকে বের হওয়া গ্যাসে তৎক্ষণাৎ আগুন ধরে যায় সারা বাড়িতে। আগুনে পুড়ে আহত হন ওই পরিবারের এক শিশু-সহ ৬ জন সদস্য। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁরা প্রত্যেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ দিন সকাল সাড়ে ৮ টা নাগাদ এই দুর্ঘটনাটি ঘটে বাগনানের বারভগবতীপুরে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন হাফিজা বেগম (৪৫), মুসিয়ারা রহমান (৫০), শেখ আমিরুল (২৪), ইয়াসমিনা খাতুন (১৯), বানু খাতুন (১০) এবং সাবানারা বেগম (৫২)। তাঁদের তিন জন এসএসকেএম হাসপাতাল এবং তিন জন উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কী ঘটেছিল?
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন হাফিজা খাবার করার জন্য রান্নাঘরে গিয়েছিলেন। সিলিন্ডারের থেকে তখনও গ্যাস লিক করছিল। হাফিজা সিলিন্ডারের নব ঘুরিয়ে সেটি চালু করলে আরও বেশি পরিমানে গ্যাস লিক করতে শুরু করে। কিন্তু তাতে যে বিপত্তি ঘটতে পারে তা তিনি বুঝতে পারেননি। গ্যাস উনুন জ্বালার সঙ্গে সঙ্গেই রান্নাঘরে আগুন ধরে যায়। হাফিজার চিৎকার শুনে ছুটে আসেন তাঁর স্বামী মুসিয়ারা। তিনি সিলিন্ডার সমেত উনুন বাইরে বের করে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু রান্নাঘর থেকে বের করলেও বাড়ির সিঁড়ির কাছে সেটি বাধ্য হয়ে ফেলে দেন। যার ফলে এক তলার অন্য ঘরেও আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে পুড়ে যান পরিবারের সকলেই। বাড়িটিও পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে।
আগুন নেভানোর জন্য স্থানীয়েরা বাইরে থেকে জল দিতে শুরু করেন। কিন্তু গেটে তালা থাকায় তাঁরা ভিতরে ঢুকতে পারেননি। পরে জানলা ভেঙে ভিতরে ঢুকে বাসিন্দাদের উদ্ধার করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy