Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

‘ঐতিহাসিক’ পারমাণবিক চুক্তির পথে এক ধাপ এগোল ইরান

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি-সহ রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে রাজনৈতিক সমঝোতার কাজ শেষ হল। তৈরি হল পারমাণবিক চুক্তির প্রাথমিক খসড়া। বৃহস্পতিবার সুইত্জারল্যান্ডের লুসানে এই ঘোষণা করলেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন-এর প্রতিনিধি ফেডেরিকা মগহেরিন এবং ইরানের বিদেশমন্ত্রী জাভাদ জরিফ।

এক মঞ্চে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে ইরানের বিদেশমন্ত্রী. ছবি: রয়টার্স।

এক মঞ্চে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে ইরানের বিদেশমন্ত্রী. ছবি: রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ১২:৪১
Share: Save:

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি-সহ রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে রাজনৈতিক সমঝোতার কাজ শেষ হল। তৈরি হল পারমাণবিক চুক্তির প্রাথমিক খসড়া। বৃহস্পতিবার সুইত্জারল্যান্ডের লুসানে এই ঘোষণা করলেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন-এর প্রতিনিধি ফেডেরিকা মগহেরিন এবং ইরানের বিদেশমন্ত্রী জাভাদ জরিফ। এই সমঝোতা অনুযায়ী ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচির বেশ খানিকটা ছাঁটকাট করবে। এর সঙ্গেই তাল মিলিয়ে ইরানের উপরে জারি থাকা বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা ধাপে ধাপে উঠতে থাকবে। চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যেই এই পরিকাঠামো মেনে পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। পরে হোয়াইট হাউসে এক ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা এই চুক্তিকে ঐতিহাসিক অ্যাখ্যা দেন। ওবামার এই ভাষণটি ইরানে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। তেহরানের রাস্তায় নামে উল্লসিত জনতার ঢল।

বেশ কয়েক বছর ধরেই ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক সমঝোতায় আসার জন্য আলোচনা চালাচ্ছিল আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, চিন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা। ধাপে ধাপে আলোচনা চলছিল। আলোচনার টেবিলে ইরানকে বসাতে সে দেশের উপর নানা শর্ত আরোপ করা হয়। ইরান সে গুলি মেনে চলায় শুরু হয় চূড়ান্ত সমঝোতা নিয়ে আলোচনা। এ বারের বৈঠক বসেছিল সুইজারল্যান্ডের লুসানে। ৩১ মার্চের মধ্যেই এই সমঝোতার কাজ চূড়ান্ত করার সময়সীমা ঠিক হয়। দু’দিন পেরিয়ে ২ এপ্রিল সেই কাজ শেষ হল। এ বার সব খুঁটিনাটি-সহ চূড়ান্ত চুক্তির কাজ শুরু হবে। যা চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে শেষ করতে হবে।

কী আছে সমঝোতায়

এই সমঝোতা চুক্তিতে পরিণত হলে সামনের ১০ থেকে ১৫ বছরে ইরানে পারমাণবিক কাজকর্ম অনেকটা কমে আসবে। ফলে ইরানের পারমাণবিক বোমা তৈরির আশঙ্কা অনেক কমে আসবে। অন্য দিকে, ইরানের উপরে নিষেধাজ্ঞাগুলি ধাপে ধাপে উঠে যাবে।

আরাক, ফোরদো, নাতান— ইরানের এই তিনটি পরমাণু কেন্দ্র নিয়ে সমঝোতা হবে।

আরাকের পরমাণু চুল্লি ঢেলে সাজা হবে। এতে আর পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় প্লুটোনিয়াম তৈরি হবে না।

ফেরদোয় শুধু গবেষণার কাজ চলবে। সব সেন্ট্রিফিউয়জ এবং পারমাণবিক জ্বালানী সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।

ইউরেনিয়াম এনরিচ করার একমাত্র সেন্ট্রিফিউজগুলি থাকবে নাতানে।

নতুন কোনও পারমাণবিক কেন্দ্র তৈরি করবে না ইরান।

সেন্ট্রিফিউজের সংখ্যা এক-তৃতীয়াংশে নামিয়ে আনবে ইরান। এখন প্রায় ১৯ হাজার সেন্ট্রিফিউজ কাজ করছে। তা কমে দাঁড়াবে ৬১০৮-এ। এর মধ্যে ৫০৬০টি সেন্ট্রিফিউজে ১০ বছর ধরে ইউরেনিয়াম এনরিচমেন্ট-এর কাজ চলবে। এই সেন্ট্রিফিউজগুলিও প্রথম প্রজন্মের। নতুন প্রজন্মের উন্নতমানের সেন্ট্রিফিউজগুলি কড়া পরিদর্শনে থাকবে।

ইরান কম এনরিচ ইউরেনিয়ামের পরিমাণ ১০ হাজার কিলোগ্রাম থেকে ৩০০ কিলোগ্রামে নামিয়ে আনবে। প্রায় ৯৭ শতাংশ হ্রাস। ১৫ বছর ধরে ইরান ইউরেনিয়ামকে ৩.৭ শতাংশ এনরিচ করবে যা বিদ্যুত্ উত্পাদনের কাজে লাগবে। বোমা তৈরির জন্য ইউরেনিয়ামকে ৯০ শতাংশ এনরিচ করতে হয়।

ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি-র (আইএইএ) পরিদর্শনে থাকবে—

ফেরদো-সহ সব পারমাণবিক কেন্দ্র। কোনও সন্দেহজনক কেন্দ্র। ইউরেনিয়ামের খনি এবং সরবরাহ প্রণালী। সেন্ট্রিফিউজের গুদাম। পারমাণবিক কর্মসূচীর সঙ্গে জড়িত যে কোনও লেনদেন।

ইরান নিয়মগুলি মেনে চললে ধাপে ধাপে নানা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে আমেরিকা, রাষ্ট্রসঙ্ঘ-সহ নানা দেশ ও প্রতিষ্ঠান। তবে ইরান নিয়ম না মানলে আবার নিষেধাজ্ঞা ফিরে আসবে।

ইরানের চোখে এই সমঝোতা

ইরানের এই পারমাণবিক কর্মসূচি দীর্ঘ দিনের। ১৯৫০-এর দশকে আমেরিকার সহায়তায় শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে ছেদ পড়ে ইরানের বিপ্লবের সময়ে। শাহকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসা ইরানের মোল্লাতন্ত্র প্রথমে পারমাণবিক কর্মসূচির গুরুত্ব বুঝতে পারেনি। তাই প্রাথমিক ভাবে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ইরাক-ইরান যুদ্ধের সময়ে আবার বিষয়টি নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু হয়। এর পরে জোরকদমে নেমে পড়ে ইরান। মূলত রাশিয়া ও চিনের পরোক্ষ সাহায্যে তাদের কর্মসূচি এগিয়ে চলে। যদিও ইরান প্রথম থেকেই বলে এসেছে পারমাণবিক বোমা নয়, সাধারণ মানুষের কল্যাণে পারমাণবিক শক্তিকে কাজে লাগাচ্ছে তারা। কিন্তু আন্তর্জাতিক পরিদর্শনে বাধা-সহ নানা কারণে আমেরিকা-সহ বিভিন্ন দেশের কাছে বিষয়টি বরাবরই সন্দেহজনক ছিল। তাই একের পরে এক নিষেধাজ্ঞা ইরানের উপরে চাপিয়ে দেওয়া হয়। এর প্রভাবে ইরানের অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে পড়তে থাকে। এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে ইরান সেই পঙ্গুত্বের হাত থেকে মুক্তি পাবে। কিন্তু ইরানের কড়া মোল্লাতন্ত্র এবং সেনার একাংশ এই চুক্তিকে কতটা বাস্তবায়িত হতে দেবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এই চুক্তি যে ইরানের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কের উন্নতির কোনও লক্ষণ নয় তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী জাভাদ জরিফ।

আমেরিকার চোখে

প্রেসিডেন্ট ওবামার কাছে এই সমঝোতা জরুরি হয়ে উঠেছিল। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী ইরানের পক্ষে এক মাসের মধ্যে পরমাণু বোমা তৈরি করা সম্ভব ছিল। সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে সেই সময়সীমাকে পিছিয়ে দেওয়া যেত। কিন্তু ফোরদো-র মতো ভূপৃষ্ঠের বেশ গভীরে থাকা পারমাণবিক কেন্দ্রগুলিতে আঘাত হানতে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বোমা দরকার। মার্কিন সাহায্য ছাড়া ইজরায়েলের পক্ষেও একা এই অভিযান চালানো সম্ভব নয়। আমেরিকা সেই ধরনের বোমা তৈরি করলেও এই অভিযানে বেশ ঝুঁকিও ছিল। মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান অবস্থায় সেই ঝুঁকি নিতে ওবামা রাজি ছিলেন না। তা ছাড়া সামরিক অভিযানের পরেও কয়েক মাসের মধ্যে ফের ইরান বোমা তৈরির অবস্থায় চলে আসত বলে জানিয়েছিল মার্কিন গোয়েন্দারা। অন্য দিকে, আরব দেশগুলি এবং ইজরায়েলের এই সমঝোতা নিয়ে প্রবল আপত্তি ছিল। সৌদি আরবের মতো আরব দেশগুলির পক্ষে শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরানের এই ক্ষমতাবৃদ্ধি আদৌ স্বস্তির নয়। অন্য দিকে, ইরানের ঘোষিত শত্রু ইজরায়েল। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানেয়াহু মার্কিন কংগ্রেসে এই সমঝোতার বিরোধিতা করে ভাষণও দিয়ে এসেছিলেন। আপত্তি ছিল দেশের ভিতর থেকেও। রিপাবলিকানদের বেশ কয়েক জন সেনেটর সমঝোতার বিরোধিতা করে ইরানকে চিঠিও লিখেছিলেন। বৃহস্পতিবারের ভাষণে শঙ্কাগুলি দূর করার চেষ্টা করেন ওবামা। তিনি জানান, এই সমঝোতা সফল হলে ইরানের পারমাণবিক বোমা তৈরির সময়সীমা বেড়ে হবে এক বছর। সব কিছুই ঘটবে আন্তর্জাতিক পরিদর্শকদের সামনে। ফলে স্বচ্ছতা থাকবে। কংগ্রেসের সদস্যদের ইরানের উপরে আবার কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করার আগে বিষয়টি ভেবে দেখতে বলেন তিনি। যদিও এই ধরনের কোনও নিষেধাজ্ঞায় ভেটো দিতে পারেন ওবামা। মার্কিন কংগ্রেসকে সমঝোতা সবিস্তারে জানানোর আশ্বাসও দেন তিনি। এই সমঝোতায় স্বভাবই ক্ষুব্ধ আমেরিকার দীর্ঘ দিনের সঙ্গী আরব দেশগুলি এবং ইজরায়েল। তাই আরব দেশগুলি ও ইজরায়েলের বিপদে সব সময় যে আমেরিকা পাশে থাকবে, সে প্রতিশ্রুতিও দেন ওবামা। আরব দেশগুলিকে বোঝাতে আগামী বসন্তে আমেরিকার ক্যাম্প ডেভিডে সম্মেলন ডেকেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ওবামা এ দিন ফোনে সৌদি আরবের রাজার সঙ্গে কথাও বলেন। কথা বলেন ইজরায়েলের পুনর্নিবাচিত প্রধানমন্ত্রী নেতানেয়াহু-র সঙ্গেও। যদিও নেতানেয়াহু এই সমঝোতাকে শেষ পর্যন্ত ইজরায়েলের অস্তিত্বের পক্ষে বিপদ বলেই মন্তব্য করেছেন। পাশাপাশি ওবামা জানান, এই সমঝোতার পরেও সন্ত্রাসবাদে ইরানের মদত দেওয়ার জন্য ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে নিষেধাজ্ঞাগুলি বহাল থাকবে। কী ভাবে ইরান সমঝোতা মানছে তার উপরে দাঁড়িয়ে ধাপে ধাপে নিষেধাজ্ঞাগুলি তোলা হবে। কোনও ভাবে ইরান এই সমঝোতার শর্ত না মানলে আবার নিষেধাজ্ঞা ফির আসবে বলেও জানান ওবামা।

যে পথে সমঝোতা

পারস্পরিক সন্দেহের বাতাবরণে বড় কঠিন পথ পেরিয়ে অবশেষে এই পারমাণবিক সমঝোতায় পৌঁছন সম্ভব হয়েছে। মার্কিন বিদেশসচিব জন কেরি জানিয়েছেন, শেষ দিকে সমঝোতা ছেড়ে বেরিয়ে আসার হুমকিও তিনি দিয়েছিলেন। এর আগে জেনিভা, ওমানে এ বিষয়ে সবিস্তারে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু চুক্তির খসড়া নিয়ে সমঝোতা হয়নি। এ বারও তেমন আশঙ্কা ছিল। মাথায় ঝুলছিল মার্কিন কংগ্রেসের নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারির হুমকিও। তাই সব পক্ষই ফল চাইছিলেন। ফলে ৩১ মার্চের মধ্যে সমঝোতা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আরও দু’দিন সময় লেগে যায়। একের পরে এক আলোচনা চলেছে। হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। আমেরিকার পক্ষে এ ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন শক্তি সংক্রান্ত বিষয়ের সচিব পরমাণু পদার্থবিদ আর্নেস্ট জে. মোনিজ। অন্য দিকে, ইরানের পক্ষে একই ভূমিকা পালন করেন পরমাণু কর্মসূচির প্রধান আলি আকবর সালেহি। যিনি আবার ম্যাসেচুটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে পরমাণু পদার্থবিদ্যায় ডক্টরেট। এর পরে ৩০ জুনের মধ্যে চুড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে। কিছু দিনের মধ্যেই সেই চুক্তির প্রযুক্তিগত খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে যাবে। সেখানেও নানা সমস্যা তৈরি হতে পারে। এর মধ্যেই সমঝোতায় ঘোষিত মার্কিন সংস্করণের সঙ্গে কয়েকটি জায়গায় দ্বিমত প্রকাশ করেছেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী জাভাদ জরিফ। তাই আশাবাদী হলেও আশঙ্কার মেঘ জমে রয়েছে সব পক্ষের মনেই।

কার কী মানে

ইউরেনিয়াম এনরিচমেন্ট- ইউরোনিয়ামের তিনটি আইসোটোপ— ২৩৫, ২৩৮ এবং ২৩৯। পরমাণুর নিউক্লিয়াসে নিউট্রনের সংখ্যা বেশি থাকায় ২৩৮ এবং ২৩৯, ২৩৫ আইসোটোপের থেকে ভারী। পারমাণবিক বোমা বানাতে দরকার এই ইউরেনিয়াম ২৩৫। খনি থেকে যে ইউরেনিয়াম মেলে তাতে ২৩৮ এবং ২৩৯-এর ভাগ বেশি। সেন্ট্রিফিউজ যন্ত্রে কোনও নির্দিষ্ট পরিমাণ ইউরেনিয়ামের মধ্যে ২৩৫ আইসোটোপের ইউরেনিয়ামের পরিমাণ বাড়ানো হয়। পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে যে ইউরেনিয়াম লাগে তাতে ৯০ শতাংশ ২৩৫ আইসোটোপের ইউরেনিয়াম থাকতে হয়।

সেন্ট্রিফিউজ- এই যন্ত্রে ইউরেনিয়ামের কোনও যৌগকে প্রবল বেগে ঘোরানো হয়। ফলে ভারী ইউরেনিয়ামের পরমাণুগুলি (২৩৮, ২৩৯) বাইরের দিকে আর হালকা পরমাণুগুলি (২৩৫) ভিতরের দিকে চলে আসে। এর থেকেই বোমা তৈরির ইউরেনিয়াম মেলে।

পরমাণু চুল্লি- এখানে ইউরেনিয়াম থেকে প্লুটোনিয়াম তৈরি করা হয়। প্লুটোনিয়াম দিয়েও পরমাণু বোমা তৈরি করা যায়।

(তথ্য সহায়তা রত্নাঙ্ক ভট্টাচার্য)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE