আদালতের পথে লকভি। ছবি: এএফপি।
অবিলম্বে জাকিউর রহমান লকভির মুক্তির আদেশ দিল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। শুক্রবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি নুরুল হক এই রায় দেন। লকভিকে আটকে রাখার সিদ্ধান্ত বেআইনি বলে খারিজ করে দেন বিচারপতি। ২৬/১১ মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী লকভি। এই হামলায় ১৬৬ জনের প্রাণ যায়।
মুম্বই হামলার অন্যতম অপরাধী হিসেবে ২০০৯-এ লকভি-সহ ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়। তার পরে নানা ভাবে এই বিচারপক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে, বিলম্বিত হয়েছে। ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি-র (এফইএ) স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেটিং ইউনিট (এসআইইউ)-এর তদন্ত করছিল। পেশোয়ারে সেনা স্কুলে হামলার কয়েক দিন পরে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর লকভি জামিন পায়। ভারত-সহ বেশ কিছু দেশ এর তীব্র বিরোধিতা করে। পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ভারত। এর পরেই বিশেষ অধ্যাদেশ প্রয়োগ করে লকভিকে আটকে রাখে পাক-সরকার। এর সঙ্গে পরে লকভির বিরুদ্ধে ছ’বছরের পুরনো একটি অপহরণের মামলাও শুরু হয়। সব মিলিয়ে বিলম্বিত বিচার প্রক্রিয়া চলতে থাকে। খবরে প্রকাশ, জেলেও বেশ আনন্দেই দিন কাটছিল লকভির। সেখান থেকে ফোনে সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত সে।
গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর ইসলামাবাদ হাইকোর্ট অধ্যাদেশটি বাতিল করার কথা বললেও পরে সুপ্রিম কোর্ট অধ্যাদেশের পক্ষে রায় দেয়। ইসলামাবাদ হাইকোর্টকে আবার মামলাটি শোনার জন্য আদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী লকভির জামিন বাতিলেরও আবেদন করেন। সেই আবেদনে পাকিস্তানে মামলাটি চালানো কত কঠিন তারও উদাহরণ দেওয়া হয়। আবেদনে সরকার পক্ষের আইনজীবী মামলা চলাকালীন হুমকি ফোন, সাক্ষীদের অভিযুক্তের সামনে হাজির হতে ভয় এবং অনীহার কথা জানিয়েছেন।
৮ জানুয়ারি অপহরণের মামলায় জামিন পায় লকভি। মাঝে কয়েক দিন গোপনে মামলাটির শুনানি চলে। সেখানে এফইএ বেশ কিছু গোপন নথিও পেশ করে বলে খবর। তার পরে আবার প্রকাশ্য আদালতে মামলাটির শুনানি শুরু হয়। ২ মার্চ ইসলামাবাদ হাইকোর্ট এক রায়ে তাদের অনুমতি ছাড়া লকভির বিরুদ্ধে নতুন কোনও মামলা শুরু না করার আদেশ দেয়। তার পরে এ দিন মুক্তির রায় এল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy