রাস্তার ওপরে পা ছড়িয়ে বসে রয়েছে এক যুবক। কোলের উপর শোয়ানো গলার নলি কাটা এক তরুণী। যুবকের এক হাতে রক্ত মাখা ছুরি। অন্য হাতে ওই তরুণীকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে চিত্কার করছে “আমি তোমাকে ভালবাসি।” তত ক্ষণে ওই তরুণীর রক্তে ভিজে গিয়েছে রাস্তার একাংশ। শনিবার ছিল ‘ভ্যালেনটাইন’স ডে’। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ এই দৃশ্য দেখে আঁতকে উঠেছিলেন তিলজলার গণেশ ঘোষ লেনের বাসিন্দারা।
পুলিশ পৌছলে আত্মসমর্পণ করে ওই যুবক। পুলিশের দাবি, খুন করার কথা নিজেই স্বীকার করেছেন শেখ সাবির আলি নামে ওই যুবক। বাসিন্দারা জানান, গ্রেফতার হওয়ার পরেও কেঁদে যাচ্ছিলেন ওই যুবক। মৃতের নাম জিনাথ পারভিন (২৪)। তিলজলার কবরডাঙা এলাকায় তাঁর বাড়ি। ধৃতের বাড়ি তপসিয়া থানা এলাকায়। জিনাথ সাবিরের প্রাক্তন স্ত্রী।
পুলিশ জানিয়েছে, জিনাথের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সাবিরের। সাত বছর আগে দু’জনের বিয়ে হয়। তাঁদের একটি ছেলে ও মেয়েও রয়েছে। কিন্তু বছর দুয়েক আগে থেকেই তাঁদের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। জিনাথের পরিবার সূত্রে পুলিশ জানতে পেরেছে বছর দেড়েক আগে একবালপুর এলাকায় থাকতেন সাবির ও জিনাথ। সে সময় সাবিরের বিরুদ্ধে একবালপুর থানায় নির্যাতনের অভিযোগও করেছিলেন জিনাথ। তার পরে অবশ্য দু’জনের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। সমস্যা মেটার বদলে এর পর থেকে সমস্যা আরও বেড়ে যায়।
পুলিশ সূত্রের খবর, মাত্র দশ দিন আগে জিনাথ তিলজলার কবরডাঙা এলাকায় ভাড়া আসেন। সেখানেই জিনাথ তাঁর বাবা, মা, দাদা ও দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন। পুলিশ জানতে পেরেছে, কয়েক দিন আগে অন্য একটি যুবককে বিয়ে করেন জিনাথ। এতেই ক্ষেপে গিয়ে সাবির এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy