বৃহস্পতিবার সকালে যমুনা নদীর চরে এক মহিলার দেহ মিলল বটে, কিন্তু তা কল্যাণীর নিখোঁজ তরুণীর কী না তা বোঝা গেল না।
উত্তরাখণ্ড পুলিশ জানাচ্ছে, তরুণীর যে আত্মীয়া দেহ শনাক্তকরণের জন্য উত্তরাখণ্ডে বসে আছেন, তিনি মৃতদেহটি শনাক্ত করতে পারেননি। কলকাতা থেকে তরুণীর ভাই রওনা দিয়েছেন দেহরাদূনের উদ্দেশে। শুক্রবার বিকেলে দেহরাদূনে পৌঁছবেন তিনি। তরণীর ভাই যদি দেহ শনাক্ত করতে না পারেন, তা হলে পুলিশ সব পক্ষের সম্মতি নিয়ে মৃতদেহের ডিএনএ পরীক্ষা করাবে। আর মৃতদেহ শনাক্ত হলে, শনিবার ময়নাতদন্তের পরে তা তুলে দেওয়া হবে তরুণীর পরিবারের হাতে।
গত ২২ অক্টোবর বন্ধু অভিজিত পালের সঙ্গে দেওয়ালির ছুটিতে উত্তরাখণ্ডে বেড়াতে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। ২২ অক্টোবর তাঁরা ছিলেন চকরাতায়। ২৩ অক্টোবর থেকে কোনও খোঁজ মেলেনি দু’জনের। গত ৩০ অক্টোবর উত্তরকাশীর এক পাহাড়ি খাদ থেকে পাওয়া গিয়েছিল অভিজিতের মৃতদেহ। শনাক্তকরণের আগেই তাঁর মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলে স্থানীয় পুলিশ।
ওই খুনের ঘটনায় উত্তরাখণ্ড পুলিশ ইতিমধ্যেই চকরাতার এক গাড়িচালক রাজু দাস ও তার তিন সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের অভিযোগ, চার বন্ধু মিলে প্রথমে অভিজিৎ ও তাঁর বান্ধবীর সর্বস্ব লুঠ করে। তারপরে দু’জনকে খুন করে। খুনের আগে ওই তরুণীর উপরে পাশবিক অত্যাচার করা হয়েছিল বলে ধৃতদের বয়ানের ভিত্তিতে দাবি করেছে পুলিশ। এর পরে দুই তরুণ-তরুণীর দেহ ভিন্ন ভিন্ন স্থানে ফেলে দেয় দুষ্কৃতীরা।
তরণীর দেহ খোঁজার জন্য বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চারটি বিশেষ উদ্ধারকারী দলকে নামায় উত্তরাখণ্ড প্রশাসন। দুটি দল নদীপথে খুঁজতে থাকে। অন্য দল দুটি নদীর ধার বরাবর হেঁটে হেঁটে তল্লাশি চালায়। একটি হাঁটা দল এ দিন নদীর চরে মহিলার মৃতদেহটি দেখতে পায় বলে উত্তরকাশীর পুলিশ সুপার জগৎরাম যোশি জানিয়েছেন। যোশি বলেন, নদীর মাঝ বরাবর বালি ও পাথর জমে ওই চরের এক কোনায় আটকে ছিল দেহটি। দেহটিকে স্থানীয় পুরোলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখান থেকে তরুণীর দেহ ছুঁড়ে ফেলা হয়েছিল, সেখান থেকে ওই নদী-চরের দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। উত্তরকাশী জেলার এসপি বলেন, “এত দিন ধরে জলের মধ্যে এতটা পথ পেরিয়ে মৃতদেহটি এসেছে। পাথরে ধাক্কা খেতে খেতে এসেছে। তার চেহারা আর চেনার মতো অবস্থায় নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy